দেশের প্রান্তিক জনপদের মানুষকে মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ করতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ পুকুর খনন করার প্রকল্প নিয়েছে। তারই আলোকে রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আওতায় শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ২২টি পুকুর খনন করে ব্যবহার উপযোগী ঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে পুকুর খনন করে পরিকল্পিতভাবে মাছ চাষের ক্ষেত্র তৈরি করা হবে।
এর মধ্যে উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের আশ্রয়ন প্রকল্পের সামনের পুকুর খনন ও আরসিসি ঘাট নির্মাণ, একই ইউনিয়নের জগৎপর আশ্রমের পুকুর খনন, দেওয়ানপুর বদুপাড়া জমে মসজিদের পুকুর খনন ও গার্ড ওয়াল নির্মাণ, দেওয়ানপুর কালি মন্দির পুকুর খনন, ঊনসত্তর পাড়া মো. শাহ জামে মসজিদের পুকুর খনন, আজগর চৌধুরী জামে সমজিদ পুকুর খনন, সুদর্শন বিহার পুকুর খনন, পৌর সভার শাহ লতিফ মসজিদ পুকুর খনন ও ঘাট নির্মাণ, উপজেলা পরিষদ পুকুর খনন ও ঘাট নির্মাণ, পশ্চিম গুজরা সরকার পাড়া রক্ষাকালী মন্দির পুকুর খনন ও ঘাট নির্মাণ, পশ্চিম গুজরা উচ্চ বিদ্যালয় পুকুর খনন ও ঘাট নির্মাণ, পশ্চিম গুজরা মোহাম্মদীয়া আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা পুকুর খনন, বদুমুন্সিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুকুর খনন ও ঘাট নির্মাণ, বদুমুন্সীপাড়া জামে মসজিদ পুকুর খনন, উত্তর গুজরা জ্বালা মন্দির পুকুর খনন ও ঘাট নির্মাণ, পূর্ব গুজরা বাইতুল উলুম মাদরাসা পুকুর খনন, শ্যামাচরণ উচ্চ বিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী কালী পুকুর খনন, বিনাজুরি নবীন উচ্চ বিদ্যালয় পুকুর খনন ও ঘাট নির্মাণ, উপজেলা জামে মসজিদ পুকুর খনন, রাউজান আরআরএসি স্কুল পুকুর খনন ও পুকুরের বিভিন্ন অংশে গার্ড ওয়াল নির্মাণ, গুজরা শ্যামাচরণ উচ্চ বিদ্যালয় পুকুর খনন ও ঘাট নির্মাণ।
গত রোববার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পুকুর খনন কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম আমীররুজ্জমান। তিনি আজাদী বলেন, সরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে মাছ চাষে উৎসাহিত করতে এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কামাল আজাদ বলেন, প্রকল্পের আওতায় থাকা পুকুর খননের কাজ ইতোমধ্যে ৩০ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি কাজও দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে।
