জগৎগুরু শঙ্করাচার্য আবির্ভাব উৎসবে বক্তারা বলেছেন, আচার্য শঙ্কর পৃথিবীতে মানব ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করে ঘুনধরা সমাজে ঝাঁকুনি দিয়েছেন। ধর্মে-ধর্মে সমাজে-সমাজে যে বৈষম্য সমাজকে কলুষিত করে রেখেছিল তা থেকে আচার্য শঙ্কর উত্তোরণ ঘটিয়ে সনাতন ধর্মের বৈজয়ন্তী উড়েছিলেন। গত ১৭ মে নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ শ্রীগুরু ধামে প্রথমবারের মতো জগৎগুরু শঙ্করাচার্য আবির্ভাব উৎসব উদ্যাপন পরিষদ আয়োজিত ধর্মসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ উপলক্ষে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল- শিব পূজা, আচার্য শঙ্কর পূজা, প্রসাদ আস্বাদন, অভিষেক, সঙ্গীতানুষ্ঠান ও ধর্মসম্মেলন। আবির্ভাব উৎসব উদ্যাপন পরিষদের আহবায়ক মাস্টার অজিত কুমার শীলের সভাপতিত্বে ধর্মসম্মেলনে উদ্বোধক ছিলেন স্বামী তপনান্দ গিরি মহারাজ। মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালন করেন স্বামী নির্বাণানন্দ পুরী মহারাজ। প্রধান অতিথি ছিলেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টী উত্তম কুমার শর্মা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী। উৎসব উদ্যাপন পরিষদের সদস্য সচিব প্রধান শিক্ষক অঞ্জন কান্তি চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন অরুন কান্তি মল্লিক, ডা. নারায়ন মজুমদার, অধ্যাপক রূপন ধর, প্রকৌশলী সঞ্জয় চক্রবর্তী মানিক, সুনীল কান্তি শীল, চবি শিক্ষক বিদ্যুৎ কান্তি নাথ, কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত, প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব কুসুম চৌধুরী, ডা. স্বপন কান্তি দে, উত্তম চক্রবর্তী, প্রকৌশলী সিঞ্চন ভৌমিক, সাহিত্যিক দুলাল মল্লিক, মানিক চন্দ্র শীল, জয়া বল তপু, কৃষ্ণা চৌধুরী, দীপিকা শীল, নুপুর দাশ প্রবীর, রাজু মহাজন, অ্যাড. সুমন দাশ, শম্ভু দাশ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী সংকলিত ও প্রকৌশলী সঞ্জয় চক্রবর্তী মানিক কর্তৃক প্রকাশিত ‘আচার্য শ্রীশ্রী শঙ্কর’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
