ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট প্রতিশ্রুতি রাখতে না পারায় সঙ্কটে পড়ে এখন কোভিড-১৯ টিকার জন্য আবারও ভারত সরকারের দ্বারস্ত হয়েছে বাংলাদেশ।
সেরামের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দ্রুত পাঠাতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে আজ মঙ্গলবার (১৮ মে) ফোন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বিডিনিউজ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনালাপে মোমেন দ্রুত বাংলাদেশে টিকা পাঠাতে অনুরোধ জানান।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজের চাহিদাসহ বাংলাদেশের অবস্থা সম্পর্কে অবগত আছেন বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রানেজেকার টিকা দিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে গণটিকাদান শুরু করলেও দুই চালানের পর আর দিতে পারেনি এই টিকা উৎপাদনকারী ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট।
করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ভারত এর আগে বাংলাদেশকে ৩২ লাখ ডোজ টিকা উপহার দিলেও এখন নিজেদের চাহিদাই মেটাতে পারছে না। তাই তারা টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার কারণে টিকা রপ্তানি করতে না পারা সেরামের নির্বাহী প্রধান আদর পুনাওয়ালা মঙ্গলবারই বলেছেন, ভারতকে বাদ রেখে তারা বাইরে টিকা দেওয়ার কথা ভাববে না।
এদিকে, টিকা না পেয়ে বাংলাদেশ সরকার নতুন করে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ রেখেছে। যে টিকা এখন মজুদ আছে তাতে দ্বিতীয় ডোজও সবার দেওয়া সম্ভব হবে না।
চীন ও রাশিয়ার টিকা আনার উদ্যোগ চললেও যারা প্রথম ডোজ হিসেবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন, তাদের জন্য এই টিকাই লাগবে।
এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ কারণ যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি জানিয়েছিল, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৬ কোটি ডোজ টিকা তারা বিভিন্ন দেশে পাঠাবে।
যুক্তরাষ্ট্রকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন যে অনুরোধ করেছেন, তা জয়শঙ্করকেও জানান তিনি। আর তা পেতে বাংলাদেশের হয়ে ওয়াশিংটনকে অনুরোধ জানাতেও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন তিনি।
জবাবে জয়শঙ্কর এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করবেন এমন কথা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।