আজ আমার পান্তা খেতে ইচ্ছে করছে যে ভীষণ! সাথে নিরামিষ-টক তরকারি, আবার একটু মন চনমনে ভর্তা; সে হোক না শুটকি, আলু, বেগুন কিংবা অন্য কোনও কিছুর…আবার যদি ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়, তবে একটুকরো সাধের ইলিশ জুটে গেলে এক্কেবারে জমে যাবে জম্পেশ! আজ আমার বড্ড লাল শাড়ি জড়াতে ইচ্ছে করছে গায়, থাকবে শুভ্র শাদার আস্তরণ; কপালে লাল সূর্যাস্তের রক্তিম আভার মতো বড় একখানা টিপ, যে টিপের দিকে তাকালে শুধু প্রাণোচ্ছলতা জাগবে মনে। থাকবে দুহাত ভর্তি রেশমি চুড়ি। যার রিনিঝিনি শব্দের মাধুর্য্য তরঙ্গে উড্ডীন হয়ে মনকে নাড়া দিয়ে চলে যাবে আরও বহুদূর, বহুদূর পর্যন্ত…আরও জেগে উঠবে খোঁপাজুড়ে শান্ত বেলির আপন পরশ! আজ আমার ঢোল, তবলা, বাঁশির সাথে এতদিনকার সমস্ত বৈরী সম্পর্ক মিটিয়ে নিয়ে আবার বুকে টেনে নিতে ইচ্ছে করছে অবাক মুগ্ধতায়! আমি বাজাতেই থাকব, আর তারা বাজতেই থাকবে অদম্য! আজ আমার পদযুগলের সাথে রঙিন সুর মিশিয়ে মিশিয়ে অপেক্ষারত ভাবুক প্রেমিককেও টেনে নিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে সামনের মঙ্গল শোভাযাত্রার পানে!আজ আমার সমস্ত সিকি-কড়ি নিয়ে ছুটতে ইচ্ছে করছে পাগলা ঘোড়ার মতো ঐ যে দেখা যাচ্ছে কী আলো ছড়ানো বর্ণিল ঢঙে সাজানো; সেই মেলাতে! আজ মনটা বড্ড কেমন কেমন করছে আমার! আমার ভেতরের আমিটা আমাকে দুর্দান্তরকম তাড়া করে বেড়াচ্ছে সবটাই ‘নূতন’ শুরুর তাগিদে। আজ খুব ছোট্ট খুকিটি হয়ে মুখোশে মুখ ঢেকে মিথ্যে ভয় দেখিয়ে হি হি করে হাসতে ইচ্ছে করছে আমার প্রিয়জনদের সাথে। সত্যিই আজ আমার নিজের সব আবোলতাবোল ইচ্ছেগুলো মেটাতে অন্যরকম ইচ্ছে জাগছে মনে! আজ বড্ড ইচ্ছে করছে গলায় মিষ্টি সুর বসিয়ে নিয়ে গাইতে- এসো হে বৈশাখ!”