শঙ্কা আর আতঙ্ক অহরহ! কিছু ভাবার সময় কই?
সময়ই আজ অসময়।
অজানা যতো-অদেখা কিছু ভয়ে নিঃশ্চুপ!
জীবনমৃত হয়ে বেঁচে থাকা তবু …।
দিবারাত্রির তফাৎ কই?
স্বদেশের মাটিতে বেড়ে ওঠা আমি
স্বদেশী বাতাসেও পাই বিষাক্ত গন্ধ!
জীবানুর দাপটে জড়সড়!
বড়ই দুর্দিন- দুঃসময় দেশজুড়ে!
সযতেড়ব লালিত বর্ণিল স্বপ্নরা চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে
মিলিয়ে যায় নিঃসীম শূন্যে।
বসন্তের সুখ বিলাসী তাণ্ডবে ও বিধ্বস্ত নির্জীব।
ভেতরে কেবল তুমুল শ্রাবণ- বৈশাখী ঝড়!
নাক মুখ ঢাকা নিষ্প্রাণ দুচোখ দেখে যায়
স্বদেশের চোখ জুড়ানো ফাল্গুনী রূপ!
কোকিলের কুহুতান, পলাশ রাঙা ভোর, ফুলের মিষ্টি সুবাস
ভাই হারানোর গল্প গাথা, পাতা ঝরার ঝিরঝির শব্দ,
আমাকেও ভাবায় ফাগুনে নিরন্তর!
প্রকৃতির নিয়ম বলে তবুও মেনে নিই নির্বিবাদে স…ব।
পাহাড়-নদী আর সবুজের কাছে
আমি পাই অন্য সুখ- আমি পাই পূর্ণতা!
বড় বেশি মগ্ন স্বদেশী ঘোরে, তাই তো টানে স্বদেশী মাটি।
কি করে হই পরবাসী?
ফাগুনে জাগছে হিয়াধীরে- বলবে কি ভালবাসার গল্প?
রক্ত রাঙা একুশ এসেছে বলে পলাশ হয়েছে লাল
কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে আজ বসন্তেই সকাল।