টেকনাফে সমুদ্র সৈকত এলাকায় প্রস্তাবিত সাবরাং পর্যটন অঞ্চলে তারকা হোটেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশে পর্যটনের নতুন ঠিকানা উন্মোচিত হয়েছে। এতে করে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এই পার্কটি বাস্তবায়িত হলে প্রতিদিন দেশি-বিদেশি ৩৯ হাজার পর্যটক উপভোগ করতে পারবেন।
গতকাল শনিবার বেলা ১২টার দিকে টেকনাফ সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের খোলা প্রাঙ্গণে একটি অনুষ্ঠানে পর্যটনবান্ধব তিনটি প্রতিষ্ঠানের তারকা হোটেল নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গ্রেট আউটডোর অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার লিমিটেডের ব্যবস্থাপক সোহেল আহমদ ও সানসেট বে লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইশতিয়াক আহমেদ পাটোয়ারি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম ও টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান।
সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক এবং বিশাল সমুদ্র সৈকত কীভাবে বেজার হয়েছে, তা তুলে ধরে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বেজা নয়নাভিরাম সমুদ্র সৈকতের পাড়ে পর্যটন অঞ্চল সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের কাজ শুরু করেছে। আরো আগে এখানে কাজ শুরু করার কথা থাকলেও পানি এবং পাথরের কারণে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তবে নীল জলরাশি এ অঞ্চল দৃশ্যমান হলে কক্সবাজারের স্থান দখল করে নেবে। এতে করে বাংলাদেশে নতুন ঠিকানা পাবেন পর্যটকরা। যেখানে পর্যটনবান্ধব পরিবেশ থাকবে।
তিনি বলেন, সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে পর্যটন শিল্প গড়তে মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ চলছে, যা অন্য জায়গার চেয়ে আলাদা হবে। এখানে ঘিঞ্জি পরিবেশ এবং ভিড় থাকবে না। পাশাপাশি এই অঞ্চলের প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য অক্ষুণ্ন রেখে পাঁচ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। ইতিমধ্যে এখানকার রাস্তা ও সীমানার কাজ দ্রুত শুরু হবে।
গ্রেট আউটডোর অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার লিমিটেডের ব্যবস্থাপক সোহেল আহমদ জানান, স্নোরকেলিং, স্কুবা ডাইভিং, প্যারাসেইলিং, জেট স্কিইং, প্যাডেল বোর্ডিং, বিচ ভলিবল, বিচ বোলিং সুবিধাসহ আধুনিক পর্যটনবান্ধব স্থাপনার কাজ শুরু হয়েছে।











