নগরীর আগ্রাবাদে রশিদ বিল্ডিংয়ের ২ নং গলিতে পানির জন্য হাহাকার চলছে। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, ওয়াসা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি তারা। ফলে এলাকার বাসিন্দারা পানির অভাবে গৃহস্থালি কাজ থেকে শুরু করে গোসল ও নিত্যক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছেন না। এ এলাকায় সুপেয় পানিরও অভাব দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, গত ২১ জানুয়ারি থেকে ২ নং গলিতে হঠাৎ করে ওয়াসার পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। কেন, কি কারণে বন্ধ হয়েছে-তার কোনো সদুত্তর দেয়নি ওয়াসা কর্মকর্তাগণ। এ সুযোগে ড্রাম ভর্তি পানি বিক্রেতাদের পোয়া বারো। অন্য সময় এক ড্রাম পানি ১২০ টাকা করে বিক্রি হতো। বর্তমানে ওই এলাকায় এক ড্রাম পানি কিনতে হচ্ছে ২০০ টাকায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, যাদের সামর্থ্য নেই তাদের মধ্যে পুরুষরা ঢেবায় গিয়ে গোসল করছে। কিন্তু নারীরা তাও পারছেন না।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী স্থানীয় কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাহাদুরকে জানালে তার পরামর্শে চট্টগ্রাম ওয়াসার মহাব্যবস্থাপক বরাবর গতকাল একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়। সেখানে তারা উল্লেখ করেন, ২৮ নং ওয়ার্ড, রশিদ বিল্ডিং, আমির হোসেন দোভাষ সড়ক এলাকার প্রায় ১০ হাজার স্থায়ী ও অস্থায়ী বাসিন্দা গত ২১ জানুয়ারি থেকে পানি সংকটে রয়েছেন। এদিকে রাতে জানা গেছে, স্মারকলিপি পাওয়ার পর ওয়াসার ইঞ্জিনিয়ারগণ রশিদ বিল্ডিং এলাকায় গিয়ে পানি না পাওয়ার কারণ চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।