প্রস্তুতি ম্যাচ মানে মূলত সফরকারীদের জন্য পরিবেশের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ। সচরাচর স্বাগতিক দল প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে খুব একটা সুবিধা পায়না। যেমনটি পায়নি গতকাল শেষ হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং বিসিবি একাদশের মধ্যকার প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে। বরং বলা যায় লাভটা ওয়েস্ট ইন্ডিজেরই হলো। কারণ তারা স্কোয়াডের সব ক্রিকেটারকে বাজিয়ে দেখতে পারল। তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় দিন যখন চলছিল তখনই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করে দেয়। কারণ আগে থেকেই এক রকম সেট ছিল এই স্কোয়াডে কারা থাকছে। হয়তো একটু দেখে নিল মাঠে তাদের অবস্থা কেমন। কারণ এই প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে স্বাগতিক দলে তেমন কেউ অন্তর্ভুক্ত হয়নি। সবশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যে স্কোয়াড ছিল সেটাই রেখে দিয়েছে নির্বাচকরা।
তবে লাভটা বলতে গেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজেরই হয়েছে। কারণ তারা তাদের স্কোয়াডের সবাইকে বাজিয়ে দেখেছে। আর এর মধ্যে ব্যাট হাতে যেমন ভাল করেছে তেমনি বোলাররাও। তবে নিজের চমকটা ঠিকই দিয়ে রেখেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সবচাইতে ওজনদার ক্রিকেটার রাকিম কর্নওয়েল। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন এই স্পিনার। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য তাকে আর বল করায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক। হয়তো রহস্যটা রেখেই দিয়েছেন। তবে ব্যাটসম্যানরাও মন্দ করেনি ক্যারিবীয়দের। অধিনায়ক ব্রেথওয়েট দুই ইনিংসেই করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। বনার এক ইসিংসে করেছেন ৮০ রান। এছাড়া ক্যাম্পবেল, মায়ার, জসোয়া ডি সিলভা, রেইফাররা করেছেন হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি রান। সব মিলিয়ে প্রস্তুতিটা ভালোই বলতে হবে। সেদিক থেকে বলতে গেলে বাংলাদেশের যে তিনজন টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা করে নিয়েছেন তারা তেমন ভাল করতে পারেনি। রাব্বি দুই ইনিংসে করেছেন ৩৩ এবং ১, সাইফ হাসান করেছেন ৭ এবং ১৫। আর সাদমান করেছেন ২৩ এবং ২২ । ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেখানে দুই ইনিংসে করেছে যথাক্রমে ২৫৭ এবং ২৯১ সেখানে বিসিবি একাদশ করেছে ১৬০ এবং ২ উইকেটে ৬৩। যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসাররা তেমন ভালো করতে পারেনি। তারপরও প্রস্তুতি ম্যাচ আর আসল লড়াই ভিন্ন কথা। আগামী বুধবার থেকে শুরু হওয়া টেস্টে নিশ্চয়ই প্রস্তুতি ম্যাচের অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগাতে চেষ্টা করবে। ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হওয়া ক্যারিবীয়রা টেস্ট সিরিজে ফিরতে চাইতে তা সহজেই অনুমেয়।