নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী মাঠে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে সংঘাত-সহিংসতা তত বাড়ছে। বিশেষ করে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত বাড়ছে। ইতোমধ্যে পৃথক দুটি ঘটনায় ২৮ নম্বর পাটানটুলি ও দেওয়ান বাজার ওয়ার্ডে দুজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া নির্বাচনী মাঠে গণসংযোগে প্রায় প্রতিদিনই সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
প্রচারণায় সংঘাতের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী গতকাল শনিবার আজাদীকে বলেন, আমি সরকার দলীয় মেয়র প্রার্থী। আমরা শুরু থেকেই একটি সুন্দর পরিবেশে গণসংযোগ করে আসছি। আমরা চাই সুষ্ঠু নির্বাচন। এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে সমস্যা আছে। তাদের প্রার্থীদের সদস্যায় মারামারির ঘটনাও ঘটছে। জনগণ নির্বাচনী সহিংসতা চান না। তারা সুন্দর পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন চান।
রেজাউল বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীদের আড়ালে বিএনপির প্রার্থীরা এখানে কিছুটা গণ্ডগোল পাকাচ্ছেন। প্রশাসনের এই ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। কারণ এই সুযোগে অনেক কিছু ঘটে যেতে পারে। প্রশাসনকে সতর্ক ভূমিকা রাখতে হবে।
সন্ত্রাসী যে-ই হোক না কেন, তাকে প্রশ্রয় দেয়া উচিত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর হলে নির্বাচনী সহিংসতা কমে আসবে। এখানে বিএনপি কিন্তু নীরবে গণ্ডগোল পাকাচ্ছে। তারা নিজেরা অনেক কিছু করে সেটাতে ভিন্নভাবে রং মেশাচ্ছে। বিএনপির নাসিমন ভবনে তারা নিজেরা মারামারি করেছে, অগ্নিসংযোগ করেছে। সেখানে তো আওয়ামী লীগ যায়নি। সুতরাং আওয়ামী লীগ কারো নির্বাচনী গণসংযোগে হামলা করেনি। আওয়ামী লীগ এটাতে বিশ্বাসী নয়।
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমাদের সরকার এই পর্যন্ত যতগুলো কাজ করেছে তাতে চট্টগ্রামের মানুষ খুবই সন্তুষ্ট। স্বাধীনতার পর আর কোনো সরকারের আমলে এত বিশাল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়নি। এটা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কারণে হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচনী গণসংযোগ করছেন। আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে জনগণের কাছে যাচ্ছি। আমাদের সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো তুলে ধরছি। এখনো পর্যন্ত আমাদের নির্বাচনী গণসংযোগে কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। বিএনপি নিজেরা নিজেরা মারামারি করে নির্বাচনী পরিবেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়।