জামাত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেই বিশৃংখলা সৃষ্টি করা হয়েছে: নজরুল এমপি

দোহাজারীতে যুবলীগের সংবর্ধনা সভায় সংঘর্ষ, আহত ৬

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১ জানুয়ারি, ২০২১ at ১০:২৬ অপরাহ্ণ

চন্দনাইশের দোহাজারীতে কেন্দ্রীয় যুবলীগের নবনির্বাচিত তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মীর মো. মহিউদ্দীনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যুবলীগের দু’পক্ষের মারামারিতে সাংবাদিকসহ ৫/৬ জন আহত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চলাকালে একটি মিছিল আসাকে কেন্দ্র করে যুবলীগের দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে।
এসময় মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।
সংবর্ধনা শুরু হওয়ার পর যুবলীগ নেতা মো. লোকমান হাকিমের নেতৃত্বে একটি মিছিল সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রবেশের সময় যুবলীগের দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে।
এসময় মঞ্চের সামনে নেতাকর্মীরা চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও একে অপরের উপর তেড়ে আসে। এতে সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ৬ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে উপজেলার জামিজুরী এলাকার আমানাত উল্লাহর পুত্র মো. আলাউ্দ্দীন (৩২), দোহাজারীর মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র মো. পাভেল(২৩)কে দোহাজারী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এসময় সাংবাদিক আবু তালেব আনসারীসহ আরো বেশ কয়েকজন আহত হন।
পরে চন্দনাইশ থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি বলেন, “এত সুন্দর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান নষ্ট করতেই এ রকম ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যারা এ ধরনের কাজ করে তারা আওয়ামী লীগকে ভালবাসেন না। তারা জামাত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্যই কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে এরকম বিশৃংখলা সৃষ্টি করেছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে মারামারি করে আপনারা আমাকে অপমানিত করেছেন। আপনারা প্রমাণ করেছেন আপনাদের কাছে আমার কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।” যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সিসি ক্যামরার ফুটেজ দেখে তাদের চিহ্নিত করতে পুলিশের প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেন তিনি।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেন, “যুবলীগ করতে হলে চাঁদাবাজি ও রংবাজি বন্ধ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বিশ্বাস করতে হবে। বাংলাদেশে কোনো এমপি বা কোনো মন্ত্রীর সুপারিশে যুবলীগ নেতা হওয়া যাবে না। কারো দালালি করে লাভ নাই। যুবলীগের চেয়ারম্যান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই হবে আসল সিদ্ধান্ত। আমরা টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত প্রতিটা ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা পর্যায়ে তথ্য নিয়ে যারা মুক্তিযুদ্ধ পরিবারের সন্তান, আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান তাদেরকে নেতা বানাবো। এখন যুবলীগ নিজেরা নিজেরা মারামারি করবেন না। যারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়, আফগানিস্তান বানাতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হবে, নিজেদের বিরুদ্ধে লড়বেন না।”
দোহাজারী পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল শুক্কুরের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম. বাবর আলী ইনু এবং সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বেগের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজাহারুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইদুল হক সুমন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ জুনু, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি আ.ন.ম. টিপু সুলতান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক পার্থ সারথি চৌধুরী, দোহাজারী পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বশির উদ্দিন মুরাদ, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. তৌহিদুল আলম, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, লোকমান হাকিম প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচন্দনাইশে শীতবস্ত্র, কম্বল ও টিউবওয়েল বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধনববর্ষে বিনোদন স্পটে উপচেপড়া ভিড়