রামুর শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করার প্রায় ২ মাস পর কক্সবাজার শহরের কলাতলীর দেলোয়ার হোসেনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গতকার সোমবার কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার উদ্দীনের নেতৃত্বে একটি দল কক্সবাজার শহরের মধ্য কলাতলীর কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করেন।
জেলা সিআইডির পরিদর্শক মনির হোসেন জানান, শহরের কলাতলীর শহরতলীতে মৃত কালা মিয়ার ছেলে দেলোয়ার হোসেন গত ২৯ অক্টোবর রামুর মিঠাছড়িস্থ শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। পরদিন ৩০ অক্টোবর রাতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন কর্তৃক তাকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সরওয়ার কামাল বাদী হয়ে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (রামু-১) এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত এই মামলা তদন্তের জন্য সিআইডিকে দায়িত্ব দেয়। এ ঘটনায় দীর্ঘ দেড় মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে সিআইডি। আর তদন্তের স্বার্থেই গতকাল সোমবার আদালতের নির্দেশে মৃত দেলোয়ার হোসেনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কঙবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেবে সিআইডি।
ঘটনার বিষয়ে মামলার বাদী ও নিহত দেলোয়ার হোসেনের ছোট ভাই সরওয়ার কামাল বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা দেলোয়ারের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে রান্না ঘরে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখি। পরে লাশ সেখান থেকে উদ্ধার করে কলাতলীতে এনে দাফন করি। এ ঘটনার পরদিন পুনরায় তার শ্বশুরবাড়িবাড়িতে গিয়ে তার রক্তাক্ত জামা কাপড় পেয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে মর্মে সন্দেহ জাগে। ফলে আমরা আদালতের শরণাপন্ন হই।