নগরীর বন্দর এলাকায় অন্যজনের প্রেমিকাকে বিয়ে করায় দিনমজুর ইব্রাহিম খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে সোহাগ নামে আরও এক আসামি জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে জানা গেছে, আসামিরা ইব্রাহিমকে নিয়ে সাগরপাড়ে বেশকিছু সময় কাটানোর পর সুযোগ বুঝে তার গলায় ছুরি চালিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। গতকাল ৩য় মহানগর হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া আসামির জবানবন্দিতে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
আদালত সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে সোহাগ প্রকাশ সোহেল প্রকাশ ফরিদ(৩০) জানিয়েছে, পলাতক আসামি আজহারের পরিকল্পনায় এ খুনের ঘটনা ঘটে। আজহারের প্রেমিকা রুপিয়াকে বিয়ে করে ইব্রাহিম। এতে আজহার ইব্রাহিমের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে খুনের পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী সে (আজহার) তার খালাতো ভাই সোহাগকে ৪০ হাজার টাকার প্রস্তাব দেয় ইব্রাহিমকে খুন করার জন্য । সোহাগ তাতে রাজি হয়ে তার বিশ্বস্ত আরেক আসামি রাসেল প্রকাশ শামীমকে রাজি করায়। এ সময় শামীমকে ২০ হাজার টাকার প্রস্তাব দেয়া হয়।
আসামিদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ২৭ নভেম্বর বিকেলে সাগর থেকে ইলিশ আনার কথা বলে সোহাগ ফোন করে ইব্রাহিমকে। ফোন পেয়ে ইব্রাহিম সীমান্ত হোস্টেলের সামনে আসে। এসময় তাদের সাথে শামীমও ছিল। পরে সেখান থেকে সবাই আনন্দবাজার সাগরপাড়ে চলে যায়। সেখানে কিছু সময় কাটানোর পর সন্ধ্যায় ইব্রাহিমকে নিয়ে সাগর পাড়ের কিনারায় ডুবু চরে যায়। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ শামীম সুযোগ বুঝে ইব্রাহিমের গলায় ছুরি চালায়। এসময় ইব্রাহিম দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে সে কাদা মাটিতে পড়ে যায়। আসামিরা তাকে চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে ফিরে আসে। ২৮ নভেম্বর বন্দর থানাধীন আনন্দবাজার সাগরপাড় থেকে পুলিশ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি হিসেবে ইব্রাহিমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা হয় বন্দর থানায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. ফয়সাল সরোয়ার আজাদীকে বলেন, সোহাগের জবানবন্দি থেকে মূলত খুনের পরিকল্পনাকারী আজহারের নাম উঠে আসে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এরআগে গত ৫ ডিসেম্বর শামীম নামে গ্রেপ্তার আরেক আসামি খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। পুলিশ জানায়, সোহাগ নোয়াখালীর চরলক্ষী গ্রামের সেকান্দার হোসেনের ছেলে। সে থাকত মধ্যম হালিশহরে।