করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে আগামী বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে নেওয়া সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলছেন, আগামী বছর যাদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা, তাদের জন্য ‘তিন মাসে শেষ করা যায়’- এমন একটি সংক্ষিপ্ত প্রণয়ন করা হয়েছে, তার আলোকে তাদের তিন মাস ক্লাস করিয়ে তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে গতকাল বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে আমরা তাদের তিন মাস ক্লাস করাতে চাই। সে কারণে হয়ত এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা ২/১ মাস পিছিয়ে যাবে। খবর বিডিনিউজের।
পরীক্ষার্থীদের অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসি ও সমমানের ফলফলের ভিত্তিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হবে। মহামারী পরিস্থিতির ততটা উন্নতি না হওয়ায় পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষা এবং স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষাও এবার হচ্ছে না। পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীরা সবাই পরের ক্লাসে উঠে যাবে। তবে শিক্ষার্থীদের কোথায় দুর্বলতা তা বোঝার জন্য ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কওমি মাদ্রাসা বাদে অন্যসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা আছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, পরিস্থিতি অনুকূল হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর এসএসসি ও এইচএসসির শিক্ষার্থীদের ছয় দিন ক্লাসে আনা হবে। অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুয়েকদিন স্কুলে এসে ক্লাস করবে, পাশাপাশি তাদের অনলাইন ক্লাসও চলবে।












