রাউজানের সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৫২টি পরিবারে একটি করে উন্নত জাতের ক্রসব্রিড বকনা বাছুর দেয়া কথা ছিল প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে।
আজ রবিবার (২২ নভেম্বর) উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে গরুর বাছুর সরবরাহের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মাত্র তিনটি গরু বিতরণের জন্য এখানে নিয়ে আসে।
কিছু কারণ দেখিয়ে তারা বাকি বাছুর পরবর্তী সময়ে সরবরাহ করবে বলে আশ্বস্ত করে উপজেলা প্রশাসনকে।
রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জোনায়েদ করির সোহাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ঠিকাদারের সরবরাহ করা গরু তিনটি তিন পরিবারকে হস্তান্তর করতে এসে দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
গরু তিনটি ছিল দেশীয় জাতের কঙ্কালসার দেহের।
এমন অবস্থায় ইউএনও বিষয়টি ফোনে অবহিত করেন রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে।
সাংসদ উপজেলা চত্বর থেকে মোবাইল ফোনে ভিডিও চিত্রে গরু তিনটি দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করে সেগুলো ঠিকাদারকে ফেরত পাঠাতে নির্দেশ দিয়ে কাগজপত্রে নির্ধারিত শ্রেণির বাছুর সরবরাহ না করা পর্যন্ত গরুর বাছুর গ্রহণ না করতে বলেন।
সাংসদের নির্দেশনা অনুসরণ করে উপজেলা প্রশাসন তিনটি গরু পাঠিয়ে দেয়।
জানা যায়, রাউজানে ৫২টি পরিবারে উন্নত জাতের ক্রসব্রিড বকনা বাছুর সরবরাহের দায়িত্ব পেয়েছিল টেনটেক ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান। কাগজে-কলমে এসব বাছুরের দাম ধরা ছিল প্রতিটি ৫০ হাজার টাকা।