জিকে শামীমসহ দুইজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

চবির ভবনে নির্মাণে অনিয়ম

চবি প্রতিনিধি | রবিবার , ২২ নভেম্বর, ২০২০ at ১০:৫২ অপরাহ্ণ

ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নতুন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবন নির্মাণের ৭৫ কোটি টাকার কাজ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মো. গোলাম কিবরিয়া শামীমসহ (জিকে শামীম) দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ রবিবার (২২ নভেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এ মামলাটি দায়ের করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম।
মামলার অপর আসামি হলেন ভবনটির অপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল করিম চৌধুরী।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজের জন্য ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট দরপত্র আহ্বান করা হয়।
সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স জিকেবিএলকে তাদের দাখিল করা একক মালিকানাধীন ফার্ম হিসেবে ৭৫ কোটি এক লাখ ২৯৫ টাকার কার্যাদেশ দেওয়া হয়। দুই বছরের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করার শর্তে ঐ বছরের ১৪ নভেম্বর তাদের সঙ্গে চুক্তি হয়।
দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স জিকেবিএলকে তাদের দাখিল করা কাগজের সঙ্গে আগের পাঁচ বছরে কমপক্ষে একটি ৩৫ কোটি টাকার বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ সন্তোষজনকভাবে সমাপ্তির সনদপত্র জমা দেয়। আগের পাঁচ বছরে গড়ে কমপক্ষে ৪১ কোটি টাকার টার্নওভার এবং ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকার লিকুইড অ্যাসেট সংক্রান্ত কাগজপত্রও জমা দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম ও মো. ফজলুল করিম চৌধুরী প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে কোম্পানির প্রকৃত নিবন্ধিত নামের সাথে একক মালিকানাধীন ফার্মের নাম সংযুক্ত করে নিবন্ধনের সনদ জমা দেন কিন্তু এক্ষেত্রে কোনো চুক্তির কাগজপত্র জমা দেননি।
এছাড়া নিবন্ধিত প্রকৃত শেয়ার সংখ্যার চেয়ে বেশি শেয়ার দেখানো হয়। ১০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা ও টার্নওভার সংক্রান্ত যে কাগজপত্র জমা দেওয়া হয় তাও জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির অযোগ্যতা ও অদক্ষতার সুযোগে ব্যবসায়ী হিসেবে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে অতি সুক্ষ্ম তথ্যগত জালিয়াতির মাধ্যমে ক্রয় প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব বিস্তার করে ওই কার্যাদেশ হাসিল করে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪০৯/১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
এ ব্যাপারে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন বলেন, জাল কাগজপত্র জমা দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবন নির্মাণের ৭৫ কোটি টাকার কাজ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম ও দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাউজানে গরু সরবরাহে জালিয়াতি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের
পরবর্তী নিবন্ধযুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় শহিদুল হক চৌধুরীর সংবর্ধনা