গত এক দিনে দেশে আরও ২ হাজার ৩৬৪ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা গত ৭৮ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর এর চেয়ে বেশি নতুন রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন ২ হাজার ৫৮২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে শনাক্ত ২ হাজার ৩৬৪ জন নতুন রোগী নিয়ে দেশে শনাক্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৪১ হাজার ১৫৯ জন। আর করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩০৫ জনে। খবর বিডিনিউজের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৯৩৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৭২২ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা ২৬ অক্টোবর ৪ লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৪ নভেম্বর তা ছয় হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৪তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৩তম অবস্থানে। বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫ কোটি ৬৩ লাখ পেরিয়েছে; মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে সাড়ে ১৩ লাখ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৭টি ল্যাবে ১৭ হাজার ৫৩১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২৬ লাখ ৬ হাজার ৯৫২টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ আর নারী ৫ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ২৫ জন ঢাকা বিভাগের, ২ জন বরিশাল বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ৩ জন চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৬ হাজার ৩০৫ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৮৫২ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৪৫৩ জন নারী।