মহানগর যুবলীগের দুই গ্রুপের (আহ্বায়ক ও চার যুগ্ম আহ্বায়ক গ্রুপ) মুখোমুখি অবস্থান ও পাল্টাপাল্টি শ্লোগানে পূর্ব নির্ধারিত শেখ রাসেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়। তবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে চার যুগ্ম আহ্বায়ক এবং আহ্বায়ক নিজ থেকে দাঁড়িয়ে নিজেদের বিভেদ ভুলে সংগঠনের স্বার্থে ঐক্যের পক্ষে বক্তব্য দেন। পাঁচজনই তাদের নিজেদের বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করলে নেতাকর্মীরা এক পর্যায়ে শান্ত হন। এরপর আহ্বায়কসহ অপর চার যুগ্ম আহ্বায়ক দলীয় কার্যালয় থেকে চলে যান। তবে যুগ্ম আহ্বায়কগণ এবং আহ্বায়ক নিজেরা অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ঐক্যের পক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য রেখে নেতাকর্মীদের শান্ত করেছেন।
গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টায় দারুল ফজল মার্কেটে দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের ৪ যুগ্ম আহ্বায়ক (দেলোয়ার হোসেন খোকা, ফরিদ মাহমুদ, দিদারুল আলম দিদার ও মাহবুবুল হক সুমন) শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করেন। এই খবর পেয়ে মিটিং শুরুর আগ মুহূর্তে সেখানে নেতাকর্মীদের নিয়ে হাজির হন সংগঠনের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু এবং তিনি সাথে থাকা দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে মঞ্চে বসেন। এসময় দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের মুহুর্মুহু শ্লোগান-পাল্টা শ্লোগানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এই ব্যাপারে সভার আয়োজক দেলোয়ার হোসেন খোকা জানান, আজকে এক বছর ধরে আহ্বায়ক আমাদেরকে বাদ দিয়ে নিজের ইচ্ছে মতো সংগঠনের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তাই আমরা চার যুগ্ম আহ্বায়ক ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগঠনের আলাদা কর্মসূচি পালন করে আসছি। আজকেও (গতকাল) আমরা শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছি। আমরা সভা শুরুর আগ মুহূর্তে তিনি অপ্রত্যাশিত ভাবে অনুষ্ঠানে প্রবেশ করেন। এসময় নেতাকর্মীরা শ্লোগান-পাল্টা শ্লোগান দিলে অনুষ্ঠানস্থলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় আমরা অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রত্যেকে দাঁড়িয়ে ঐক্যের পক্ষে বক্তব্য রাখি। এতে নেতাকর্মীদের শান্ত হন। আমরা ৪ যুগ্ম আহ্বায়কই বলেছি, ঐক্য চাই, বিরোধ চাই না। আহ্বায়ক বাচ্চুও বলেছেন ঐক্য চান, বিরোধ চান না। আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করব। তারপর আমরা সবাই অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করি।
এদিকে নেতাকর্মীরা জানান, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের গ্রুপিং চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। অনেকদিন ধরে নেতারা এককভাবে কোনো কর্মসূচি পালন করছেন না।