৯৬ শিল্পীর প্রদর্শনী, ৩৬ জন এঁকেছেন শিল্পকলায় বসে

ইন্টারন্যাশনাল চট্টগ্রাম আর্ট কার্নিভাল

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৬ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৮:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে দেশিবিদেশি ৯৬ জন শিল্পীর আঁকা ছবির প্রদর্শনী। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার শিল্পীদের পাশাপাশি ভারতের ছয়জন এবং জাপানের দুজন শিল্পীর ছবিও স্থান পেয়েছে এ প্রদর্শনীতে। আছে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও ইন্দোনেশিয়ার শিল্পীদের ছবিও।

গতকাল উদ্বোধন হওয়া তিনদিন ব্যাপী এ চিত্র প্রদর্শনী চলবে আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া শিল্পীদের মধ্যে ৩৬ জন শিল্পী জেলা শিল্প একাডেমিতে বসেই তাদের ছবি এঁেকছেন। ‘ইন্টারন্যাশনাল চট্টগ্রাম আর্ট কার্নিভাল২০২২, পার্ট৩’ শীর্ষক এ আয়োজন করে আর্ট সার্কেল বিডি। গতকাল প্রদর্শনী শুরু হলেও ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি দুদিন ছিল আর্ট ক্যাম্প। মূলত এ ক্যাম্পেই ছবি আঁকেন শিল্পীরা। ক্যাম্প ও প্রদর্শনীকে ঘিরে গত শুক্রবার থেকে শিল্পী ও শিল্প সমালোচকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে শিল্পকলা একাডেমি।

গতকাল চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চিত্রশিল্পী আহমেদ নেওয়াজ। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সুফিয়া বেগম, চট্টগ্রাম চারুকলা কলেজের প্রথম ব্যাচের ছাত্র শিল্পী দেওয়ান মামুন ও শিল্পী রেজাউন নবী। উপস্থিত ছিলেন শিল্পী সুজা উদ্দীন।

চিত্রশিল্পী আহমেদ নেওয়াজ বলেন, করোনাকালে সংঘটিত হয় আর্ট সার্কেল। ওই সময় আমরা যারা ছবি আঁকতাম বা ছবি আঁকতে পছন্দ করি তাদের ছবি নিয়ে অনলাইনে এক্সিবিশন করতাম। ইতোমধ্যে অনলাইনে তিনটা প্রদর্শনীও হয়েছে। এবার অফলাইনে চট্টগ্রামে করছি। পরের আয়োজন হবে রাজশাহীতে। এরপর কলকাতায়।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, যশোর, সিলেটসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করেও যারা ভালো ছবি আঁকেন তারাও এসেছেন। ক্যাম্পে তারা এঁকেছেন। সেই ছবি স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে। আর্ট সার্কেলে দেশবিদেশের প্রায় ১১ হাজার শিল্প সদস্য আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা চিন্তা করলাম সবাই এক জায়গায় বসে ছবি আঁকার আয়োজন করব। সেই আয়োজন থেকেই আজকের প্রদর্শনী হচ্ছে।

অধ্যাপক সুফিয়া বেগম বলেন, আর্ট ক্যাম্পে শিল্পীরা কাজের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। শিল্পীদের পথচলা আরো গতিশীল হয়।

এদিকে প্রদর্শনীতে ছিল শিল্পী, আর্ট কলেজের শিক্ষার্থী এবং সাধারণ দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়। তারা ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন ছবি। কেউ শিল্পীদের কাছে তাদের আঁকা ছবির বিষয়ে নানা প্রশ্ন করছিলেন।

ঢাকা থেকে আসা শিল্পী রেজাউন নবীর বিমূর্ত প্রকৃতির একটি ছবি ঘিরেও ছিল দর্শকদের নানা প্রশ্ন। জানতে চাইলে এই শিল্পী আজাদীকে বলেন, আমার অন্যান্য ছবির ধারাবাহিকতার একটা অংশ এই ছবি। চট্টগ্রামের ভৌগলিক ব্যাপার হচ্ছে সমুদ্রবেষ্টিত। সেজন্য সমুদ্রের বিশালতাকে দেখাইনি। সমুদ্রের শাখাপ্রশাখা খাল, ছোট ছোট নদীকে বিষয়বস্তুর অংশ হিসেবে নিয়েছি। তারপর এখানে আঙ্গিক এবং আলোছায়ার ব্যাপার আছে। আবার কোনো বস্তুকে এখানে সত্যিকারভাবে প্রস্ফুটিত করিনি। কিছুটা কাল্পনিক ব্যাপার আছে। যেমন এখানে বাব্‌ল আছে, যেগুলো ডাইমেনশন (মাত্রা) সৃষ্টি করেছি। এতে ছবিতে ডেপথ (গভীরতা) আসছে এবং আলাদা এটেনশন (মনোযোগ) আসছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআন্দোলনের নামে নাশকতা হলে রাজপথে প্রতিহত করা হবে
পরবর্তী নিবন্ধরাসেল ও টুম্পার জন্য মেডিকেল বোর্ড, চিকিৎসা শুরু