সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার ৭ম দফার সাক্ষ্যগ্রহণের দ্বিতীয় দিনে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ৬৫তম স্বাক্ষী ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর তৎকালীন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।
আজ মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তার জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আংশিক জেরার পর দ্বিতীয় দিনের মতো আদালতের বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়।
এর আগে আজ মঙ্গলবার আদালতে দিনের শুরুতে মামলাটির প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাবের তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার মো. জামিলুল হকের অসমাপ্ত জেরা সম্পন্ন হয় বলে জানিয়েছেন এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।
তিনি জানান, জামিলুল হক সিনহা হত্যা মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে এ মামলার দায়িত্ব নেন মো. খায়রুল ইসলাম।
আজ মঙ্গলবার দিনের শুরুতে জামিলুল হকের জবানবন্দি ও অসমাপ্ত জেরা শেষ হয়। এরপর খায়রুল ইসলামের জবানবন্দি শেষে আসামিপক্ষের একজন আইনজীবীর জেরার মাধ্যমে আদালত দ্বিতীয় দিনের বিচারিক কার্যক্রম শেষ করে। তার পরবর্তী জেরা হবে আগামীকাল বুধবার।
তিনি আরো জানান, এ মামলায় বাদীসহ মোট ৮৩ জন স্বাক্ষী রয়েছেন যাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৬৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে।
৬৫ তম স্বাক্ষী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলামের জবানবন্দি শেষ হলেও জেরা বাকি রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩১ জুলাই ঈদুল আযহার আগের দিন রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
