হাটহাজারীর ১১নং ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত সমর্থিত ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত মোমবাতি প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মুহাম্মদ সেকান্দর মিয়া আদালতের নির্দেশে তার প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
এই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন তার মনোনয়ন বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার।
মনোনয়নপত্র বাছাই করে বাতিল করার পর তিনি তার প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার জন্য উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে উচ্চ আদালত এই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে উল্লেখ করে তার নির্বাচনে কোনো বাধা নেই বলে ঘোষণা করে রায় প্রদান করে।
এই সংবাদ তার নির্বাচনী এলাকায় এসে পৌঁছালে তার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে খুশীর আমেজ দেখা দেয়। খবর পাওয়া মাত্র তার নির্বাচনী এলাকা ফতেপুরে প্রার্থীর প্রতীক সম্বলিত পোস্টার-ফেস্টুন লাগাতে শুরু করে বলে জানা যায়।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ এস ডি আনোয়ার খালেদ জানান, এ সংক্রান্ত কোনো চিঠিপত্র আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত তিনি পাননি। আদালতের নির্দেশনা পেলে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন কি না।
তবে ইসলামী ফ্রন্টের দলীয় সূত্র তাদের দলীয় প্রার্থী মুহাম্মদ সেকান্দর মিয়ার দলীয় মনোনয়ন বৈধ বলে উচ্চ আদালত আজ মঙ্গলবার রায় দিয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানায়।
ঢাকা থেকে মোবাইল ফোনে সংবাদ অবহিত হয়ে তারা নিজ দলের প্রার্থীর প্রচারণা শুরু করেছেন বলেও উল্লেখ করেন।
বর্তমানে ১১নং ফতেপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের দলীয় প্রার্থী মো. জয়নুল আবেদীন, বিএনপি সমর্থিত আনারস প্রতীকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাকের হোসেন। এই তিনজন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে।