মায়ের সঙ্গে অভিমান করে রেডিসন ব্লুর ২০ তলা থেকে লাফ

আজাদী অনলাইন | মঙ্গলবার , ১৬ নভেম্বর, ২০২১ at ৭:৫৮ অপরাহ্ণ

নগরীর একমাত্র পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউর ২০ তলা থেকে পড়ে মারা গেছেন আরিফ কবির(২৪) নামের এক যুবক।

গতকাল সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে হোটেলের ৬ তলায় পড়েন তিনি। সেখান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় রাত সোয়া ১০টার দিকে।

রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউর ২০ তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে মারা যাওয়া আরিফ কবির গত ৯ নভেম্বর বাসা থেকে বের হয়েছিলেন মায়ের সঙ্গে অভিমান করে।

বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রথমে তিনি যান কক্সবাজার। পরে সেখান থেকে ঘুরে হোটেল রেডিসন ব্লুতে আসেন তিনি। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন এ তথ্য জানান। বাংলানিউজ

তিনি বলেন, “২০ তলায় আরিফ কবির নাস্তা করতে যান। ওই তলায় এক পাশে খেতে খেতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার স্থান রয়েছে। সেখান থেকে আরিফ হোসেন লাফ দেন। মরদেহ ময়নাতন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।”

মায়ের বরাত দিয়ে মরদেহের সুরতহাল করা কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিমুল চন্দ্র দাস বলেন, “আরিফ হোসেন গত দশ বছর ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসকের মাধ্যমে কাউন্সেলিং করা হয়েছিল। বিভিন্ন সময়ে পরিবারের সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ করে বের হয়ে যেতেন। পরিবারের মা ও দাদার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হতো বেশি। মায়ের সঙ্গে অভিমান করে গত ৯ নভেম্বর বাড়ি থেকে বের হয়ে যান তিনি। সেই দিন কক্সবাজারে চলে গিয়েছিলেন আরিফ হোসেন।”

কোতোয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) চৌধুরী রেজাউল করিম জানান, হোটেলটির ২০ তলার রেস্তোরাঁ সংলগ্ন ওপেন স্পেস থেকে আরিফ লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এমনটি জানিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। আরিফ যে টেবিলে বসে খাবার খেয়েছিলেন সেখানে কিছু খাবার রয়ে গেছে। তিনি ধীরে ধীরে নাশতা করছিলেন, সময় নিয়ে খাচ্ছিলেন। আকস্মিকভাবে লাফ দেন। উদ্ধারের পর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরো বলেন, “ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা, মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড সংগ্রহ সহ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে পুরো ঘটনা। আরিফ সেখানে কাদের সঙ্গে গেছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে ৪ আসামি গ্রেফতার
পরবর্তী নিবন্ধ৭ম দফার দ্বিতীয় দিনে সাক্ষ্য দিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা