৫ হাজার গরু-মহিষ নিয়ে খামারিদের বিক্ষোভ

মীরসরাইয়ে চারণভূমি রক্ষার দাবি

মীরসরাই প্রতিনিধি | রবিবার , ১২ জুন, ২০২২ at ৮:৫৫ পূর্বাহ্ণ

 

 

 

মীরসরাইয়ের চরাঞ্চলে মহিষসহ গবাদি পশুর চারণভূমি রক্ষার দাবি ও খামারিদের কাছ থেকে উপকূলীয় বনবিট কর্মকর্তাদের জরিমানা আদায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন ৫শ খামারি। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় খামারিরা ৫ হাজার গরুমহিষ নিয়ে মীরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর এলাকায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেন। এ সময় খামারিদের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে সমস্যা সমাধানের জন্য তাদের সঙ্গে কথা বলেন মীরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিনহাজুর রহমান ও ইছাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা। উপস্থিত ছিলেন মীরসরাই সার্কেলের এএসপি লাবীব আব্দুল্লাহ, জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর হোসেন মামুন ও বেজা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন।

জানা গেছে, মীরসরাইয়ের ইছাখালীর চরাঞ্চলের ৩০ হাজার একর জায়গায় গড়ে উঠছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর। অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য চরাঞ্চলের জমি অধিগ্রহণের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে ১০ হাজার মহিষের চারণভূমি। এতে সমস্যায় পড়েছেন মহিষ, গরু ও ভেড়া পালনকারী ৫শ খামারি। এদিকে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ইছাখালী স্লুইচ গেটের শেষ মাথায় জেগে ওঠা চরে মহিষ প্রবেশ করে সৃজনকৃত উপকূলীয় বাগানের গাছ নষ্ট করার অভিযোগে একাধিক খামারিকে জরিমানা করার অভিযোগ করেছেন মহিষ পালনকারী খামারিরা। এ বিষয়ে উপকূলীয় বনবিভাগের মীরসরাই রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল গফুর মোল্লা ও বনবিট কর্মকর্তা রনি পারভেজ বলেন, চর জাগলে উপকূল ভাঙনরোধী গাছের চারা রোপণ করে উপকূলীয় অঞ্চলে সুপার ডাইক রক্ষা করা হয়। জরিমানার বিষয়ে খামারিদের অভিযোগ সত্য নয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা বলেন, খামারিরা গরুমহিষ দিয়ে হালচাষ করেন। দুধ ও মাংস বিক্রয় করে তাদের সংসার চালান। চারণভূমি না থাকায় খাদ্যের অভাবে মারা যাচ্ছে গরুমহিষ। এখানকার হাজার হাজার গবাদি পশুর জন্য জেগে ওঠা চরে চারণভূমির দাবি জানান তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান বলেন, আমাদের শিল্পাঞ্চল প্রয়োজন, আবার আমিষেরও প্রয়োজন। এছাড়া গবাদি পশু পালনকারীদেরও বাঁচতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের তালিকা করার জন্য বলেছি। এই সমস্যা নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রামে গরুমহিষের দুধ ও মাংসের যোগান অনেকাংশে এখান থেকে হয়। খামারিদের কথা উপজেলা সমন্বয় সভায় সংসদ সদস্যকে অবহিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে বুদ্ধ জয়ন্তী ও বৌদ্ধ সংঘ সম্মেলন
পরবর্তী নিবন্ধচবিতে ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন