গোমদন্ডীর নিভৃত পল্লীর বাসিন্দা আবদুল। পেশায় একজন সিএনজি অটোরিকশা চালক। ঘরে বৃদ্ধা মা, স্ত্রী-পুত্র মিলে ৫ জন সদস্য। কোনমতে চলছিল সংসার। লকডাউনের কারণে গত দেড় সপ্তাহ ধরে চালাতে পারছেন না গাড়ি। আয় রোজগার একেবারেই বন্ধ। কোন উপায় না দেখে এক প্রতিবেশির পরামর্শে ৩৩৩ নম্বরে কল দিতেই খাবার নিয়ে বাড়িতে হাজির স্থানীয় ইউএনও।
সিএনজি চালক আবদুলের কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছিল না ঘটনাটি। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক এখানকার অসহায় ও দুস্থ অনেকের ঘরে ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী। ইউএনও নিজে গিয়েই এসব খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন বাড়ি-বাড়ি। যদিও বা প্রয়োজনের তুলনায় তা একেবারে সামান্য।
তারপরও ব্যাপারটি অনেকের মনে আশা জাগাচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ কয়দিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রায় ৬ শত পরিবারের মাঝে খাবার ও ১ লক্ষ ৭০ হাজার নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছমুন নাহার দৈনিক আজাদীকে বলেন, করোনার ঢেউ মোকাবেলায় সারাদেশে চলছে এখন কঠোর লকডাউন। গত প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে চলে আসা এ লকডাউনে একেবারে কর্মহীন হয়ে পড়েছে অধিকাংশ মানুষ। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর এসব উপহার ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করছি। এ ধারা অব্যহত থাকবে বলেও জানান তিনি।