২৯ অক্টোবর গুডস হিল ঘেরাও কর্মসূচি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের

হুম্মামকে সাতদিনের আল্টিমেটাম

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৩ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:১২ পূর্বাহ্ণ

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি হওয়া সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর চট্টগ্রাম শহরের বাড়ি ‘গুডস হিল’ ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। যুদ্ধাপরাধীকে ‘শহীদ’ সম্বোধন করে সাকাপুত্র বিএনপি নেতা হুম্মাম কাদের চৌধুরীর বক্তব্য এবং মানবতা বিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্তদের স্ত্রী-সন্তানদের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবিতে আগামী ২৯ অক্টোবর এ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। তবে এর আগ পর্যন্ত হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার সময় দেয়া হয়েছে।

গতকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের জেলা ও মহানগর শাখার পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে লিখিত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলার সদস্য সচিব কামরুল হুদা পাভেল। এসময় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চট্টগ্রাম মহানগর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কুখ্যাত যুদ্ধাপারাধী সাকা চৌধুরীকে ‘শহীদ’ উল্লেখ করে হুম্মাম চৌধুরী যে বক্তব্য দিয়েছেন এটা সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অপমান। হুম্মামের অঙ্গভঙ্গি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এই আস্ফালনের জন্য ক্ষমা চাইতে তাকে সাতদিনের সময় দেয়া হয়েছে। যদি এর মধ্যে ক্ষমা না চান তাহলে ২৯ অক্টোবর সকাল ১১টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা এবং মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সকল সংগঠনের নেতাকর্মী নিয়ে ‘গুডস হিল’ ঘেরাও করা হবে।

দেশে একাত্তরের পরাজিত অপশক্তির নবউত্থান হয়েছে জানিয়ে বলা হয়, আদালতের আদেশে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। তবুও জামায়াতের কেউ ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে, কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠন ও পরিবারের সদস্যদের অংশ নেওয়াটা স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রশ্নে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর স্পষ্ট বক্তব্য দাবি করেছেন সংগঠনটির নেতারা।

যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্তের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমেদ বলেন, যুদ্ধাপরাধী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা এখন সময়ের দাবি। যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা সরকারের কাছে আছে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মাধ্যমে রাজাকার-আলবদরদের তালিকা হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, আইন প্রণয়ন করে যুদ্ধাপরাধী ও তাদের পরিবারের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করুন। তাদের স্ত্রী-সন্তানদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করুন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল, সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক সাহেদ মুরাদ সাকু, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সজিব, মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন এবং সদস্য সচিব কাজী রাজিশ ইমরান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধলোকবল সংকটে ব্যাহত বন্দরের কার্যক্রম