১১ দিনে ভারতে গেলো ৫০৩ মেট্রিক টন ইলিশ

| শুক্রবার , ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১১ দিনে ১৪৭৫ মেট্রিক টন ইলিশের মধ্যে ৫০৩ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে। তবে গত আট বছর ধরে ইলিশ সংকটের কারণে বিদেশে ইলিশ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বন্ধুত্বের সম্পর্কের কারণে দুর্গাপূজা উপলক্ষে গত দুই বছর ধরে ভারতে ইলিশ দিচ্ছে বাংলাদেশ। শুল্কমুক্ত সুবিধায় এ ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হচ্ছে। এ ইলিশ ১০ ডলার মূল্যে ভারতে রপ্তানির জন্য বাংলাদেশি নয়টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান অনুমোদন পেয়েছেন। এর মধ্যে শার্শার জনতা ফিস ১৭৫ মেট্রিক টন, ঢাকার রিপা এন্টারপ্রাইজ ১৭৫ মেট্রিক টন, টাইগার ট্রেডিং ১৫০ মেট্রিক টন, ইউনিয়ন ভেঞ্চারের ১৭৫, গাজী ফ্রেশ সি ফুডস ১৭৫ মেট্রিক টন, খুলনার জাহানাবাদ ১৫০ মেট্রিক টন, চট্টগ্রামের প্যাসিফিক সি ফুডস লিমিটেড ১৫০ মেট্রিক টন, পাবনার সেভেন স্টার ফিস প্রসেসিং লিমিটেডের ১৫০ মেট্রিক টন, ও বরিশালের মাহিম এন্টারপ্রাইজের ১৭৫ মেট্রিক টন করে মোট ১৪৭৫ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি অনুমোদন পেয়েছে। খবর বাংলানিউজের।
মাছ রপ্তানিকারক চট্টগ্রামের প্যাসিফিক সি-ফুডস লিমিটেডের প্রতিনিধি এমি এন্টারপ্রাইজের মহিতুল হক রুবাই জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পূজা উপলক্ষে ভারতে ১৪৭৫ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন হয়। এর মধ্যে আমরা ১৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছি। ইতোমধ্যে আমাদের ১৩৪ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে এবং বাকি ১৬ মেট্রিক টন ইলিশ আগামী মাসের ১০ অক্টোবরের মধ্যে পাঠানো হবে।
বেনাপোল কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা আকছির উদ্দিন মোল্লা জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে রপ্তানি জন্য ১৪৭৫ মেট্রিক টন ইলিশ অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ১১ দিনে ৫০৩ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে। এবং ১০ অক্টোবরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে বাকি ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হবে।
জানা যায়, দেশে ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়ায় সংকট দেখিয়ে ২০১২ সালের পরে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় সরকার। তবে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সুসম্পর্ক বাড়াতে গতবছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানি করা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর ও দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ১৪৭৫ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবন্ধু প্রতিবেশীরা ভারতকে ছেড়ে যাচ্ছে?
পরবর্তী নিবন্ধআউটার স্টেডিয়াম এলাকা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ