১০ লাখ টাকার ‘কালো মানিক’

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১১ জুলাই, ২০২১ at ৫:০০ পূর্বাহ্ণ

কুচকুচে কালো গায়ের রঙ। এই রঙের কারণেই ষাঁড়টির নাম দেওয়া হয় ‘কালো মানিক’। চার বছর আগে কর্ণফুলীর চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের খামারি নাজিম উদ্দীন হায়দারের ডেইরি ফার্মে জন্ম কালো মানিকের। ওই খামারেই বেড়ে উঠেছে ষাঁড়টি।
চার বছর আগের সেই ছোট্ট কালো মানিক এখন ২০ মণ ওজনের ষাঁড়। কোরবানিতে বিক্রির জন্য তার দাম হাঁকা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। লকডাউনের মধ্যেও আগ্রহী অনেক ক্রেতা কালো মানিককে দেখতে নাজিমের খামারে আসছেন। রয়েছেন উৎসুক লোকজনও। ব্রাহামা জাতের ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিন খামারে ভিড় করছেন তারা। গতকাল শনিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, আলাদা দুই রশিতে লোহার আংটায় বাঁধা কালো মানিক। খামারের এক শ্রমিক গোসল করাচ্ছে তাকে। এ সময় কালো মানিকসহ অন্য গরুগুলোর পরিচর্যা তদারকি করছিলেন খামারের মালিক নাজিম উদ্দীন হায়দার। চঞ্চল প্রকৃতির ষাঁড়টিকে সবাই ভয় করে। সারাদিন তাকে খামারে বেঁধে রাখা হয়।
জানতে চাইলে নাজিম বলেন, ষাঁড়টি ছোট থেকে চঞ্চল প্রকৃতির। একটু ছেড়ে দিলে তাকে আটকানো কঠিন। বের করলে ষাঁড়টিকে দেখভালের জন্য কমপক্ষে ৫-৭ জনের মানুষের প্রয়োজন হয়। তাই খামারের বাইরে আনা হয় না।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালের শুরুর দিকে জন্ম ষাঁড়টির। কুচকুচে কালো বলে এটির নাম রেখেছি কালো মানিক। ষাঁড়টিকে সবসময় স্বাভাবিক খাবার দেওয়া হয়। শুকনো খড়ের পাশাপাশি গমের ভুষি, সয়াবিন, আটা কুড়া, মটর, ছোলা, খৈল, ভুট্টার স্লাইস খাওয়ানো হয়। মোটাতাজাকরণের জন্য কখনো ইনজেকশন কিংবা ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়নি বলেও দাবি খামারির।
নাজিম বলেন, সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয় কালো মানিককে। প্রতিদিন গোসল দেওয়া হয়। বর্তমানে ষাঁড়টির ওজন ৯৭০ কেজি, যা প্রায় ২০ মণ। প্রায় ছয়ফুট উচ্চতার কালো মানিককে সামনের কোরবানির জন্য বিক্রি করা হবে।
ষাঁড়টিকে কেনার জন্য ইতোমধ্যে অনেকে আগ্রহ দেখিয়েছে উল্লেখ করে খামারি নাজিম বলেন, এটিকে কোনো বাজারে তোলা হবে না। খামারে রেখেই বিক্রি করা হবে। ফেসবুকে দেখে অনেকে কালো মানিককে দেখতে এসেছেন। সকাল-বিকাল লোকজন ষাঁড়টি দেখার জন্য ভিড় করছে। তিনি বলেন, লকডাউনে খামারিরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অন্য সময়ের চেয়ে গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে। ফলে লোকসানের মধ্যে রয়েছেন খামারিরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাঙামাটিতে একদিনে ৪০ জনের করোনা পজিটিভ
পরবর্তী নিবন্ধলাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে ফিরেছেন খালি হাতে