১০ দিনে পণ্য ডেলিভারি না দিলে জরিমানা

ই-কমার্স নীতিমালা

| বুধবার , ৯ ডিসেম্বর, ২০২০ at ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ

অর্ডার সম্পন্ন হওয়ার পরে এলাকা ভেদে সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি না দিলে জরিমানা গুনতে হবে ই- কমার্স কোম্পানিকে। এটি করতে ব্যর্থ হলে ই- কমার্স কোম্পানিকে জরিমানার পাশাপাশি গ্রাহককে টাকা ফেরত দিতে হবে। এমনকি তারা পণ্য সরবরাহ জালিয়াতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হবে।
জালিয়াতি এবং দেরিতে পণ্য ডেলিভারি রোধে এসব শর্ত যুক্ত করে ই-কমার্স নীতিমালা চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ জাতীয় অনেক নির্দেশিকাসহ, ই-কমার্সকে আরও সহজলভ্য করতে একটি নীতি সমৃদ্ধ ব্যবসায়িক মডেল প্রণয়ন করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ই-কমার্স নীতিমালার একটি খসড়া চূড়ান্ত করেছে। নীতিমালা চূড়ান্ত করার জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং ই-কমার্স খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠকে বসবে। খবর বাংলানিউজের।
প্রথমত এই নীতিমালা শুধুমাত্র ওয়েবসাইট ভিত্তিক ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর জন্য। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরবর্তীতে ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচালিত ক্ষুদ্র ই-কমার্স উদ্যোগের জন্য আলাদা নীতিমালা জারি করবে। বর্তমানে ওয়েবসাইট ভিত্তিক ই-ক কমার্স প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা পা্রয় ২০০০টি। এছাড়াও ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ভিত্তিক ৫০ হাজার উদ্যোগ রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিদ্যমান অসংগতি হ্রাস এবং গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষার মাধ্যমে সরকার ই- কমার্স খাতকে সমৃদ্ধ করার জন্য নীতিমালা তৈরি করছে। মন্ত্রণালয়ের আশা গ্রাহকের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য স্বচ্ছ নীতিমালা প্রণয়ন করা গেলে আগামী বছর ই- কমার্স খাতে ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে যে অনলাইনে অর্ডার করার সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেলিভারি ম্যানের কাছে পণ্য হস্তান্তর করতে বাধ্য থাকবে ই-কমার্স কোম্পানি। ক্রেতা ও বিক্রেতার অবস্থান একই জেলায় হলে সাত দিনের মধ্যে ডেলিভারি কোম্পানিকে গ্রাহকের কাছে পণ্য পৌঁছে দিতে হবে। ক্রেতা যদি অন্য জেলার হয় তবে কোম্পানি ক্রেতার ঠিকানায় পণ্যটি পৌঁছে দিতে সর্বোচ্চ ১০ দিন সময় পাবে। এ সময়ের বেশি হলে জরিমানা গুনতে হবে এবং গ্রাহকের আগে পরিশোধ করা টাকা ফেরত দিতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অর্থায়নে এডিবির ৫ কোটি ডলার ঋণ
পরবর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ৩২.২২ কোটি টাকা