হ্রদ আর ঝরনা দেখতে বছরে মীরসরাইয়ে ৩ লাখ পর্যটক

নেই বিশ্রামাগার, সুবিধা বাড়ানোর তাগিদ

মীরসরাই প্রতিনিধি | শুক্রবার , ৫ মে, ২০২৩ at ৬:৫৮ পূর্বাহ্ণ

হ্রদ, ঝরনা, পাহাড় ও গিরিখাদ থাকায় চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলা হয়ে উঠেছে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান। প্রতিবছরই বাড়ছে পর্যটক সংখ্যা। গত এক বছরে মীরসরাইয়ের হ্রদ, গিরিখাত ও ঝরনাগুলো দেখতে এসেছেন অন্তত ৩ লাখ পর্যটক। কিন্তু এখানে নেই কোনো বিশ্রামাগার বা আবাসিক সুবিধা। যতো দূরদূরান্ত থেকেই আসুক না কেন থাকার জন্য চলে যেতে হয় চট্টগ্রাম শহরেই।

স্থানীয় লোকজন বলেন, উপজেলার মহামায়া হ্রদ, খৈয়াছড়া ঝরনা, নাপিত্তাছড়া ঝরনা, সোনাইছড়া, বাওয়াছড়া, রূপসী ঝরনা, লবণাক্ষ, সহস্রধারা ঝরনা আর মেলকুম গিরিখাত পর্যটকদের কাছে এখন আকর্ষণীয়। এ পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে মেলকুম গিরিখাত ছাড়া অন্যগুলো বন বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ইজারা দেওয়া হয়েছে। বন বিভাগ সূত্র জানায়, মহামায়া হ্রদ ৭১ লাখ টাকায় ও সব কটি ঝরনা ২৯ লাখ টাকায় ১ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়। ঝরনাগুলোর ব্যবস্থাপনায় রয়েছে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বারৈয়ারঢালা রেঞ্জ ও মহামায়া হ্রদের দায়িত্বে রয়েছে মীরসরাই রেঞ্জ। সমপ্রতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠা মেলকুম গিরিখাতটি এখনো কোনো সরকারি ব্যবস্থাপনায় আসেনি। বন বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২২২৩ ইজারা বছরে মহামায়া হ্রদ ঘুরতে আসেন ২ লাখ পর্যটক। আর ঝরনাগুলোতে ৯৬ হাজার ৮৩১ জন দর্শনার্থী আসেন। তাদের মধ্যে ৭৪ জন ছিলেন বিদেশি পর্যটক। পর্যটকদের নির্দিষ্ট হিসাব না থাকলেও স্থানীয় লোকজন বলেন, গত এক বছরে মেলকুম গিরিখাত দেখতে এসেছেন সাত থেকে আট হাজার পর্যটক।

গত বুধবার বিকেলে মীরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা দেখে ফিরছিলেন ঢাকা থেকে আসা চাকরিজীবী দম্পতি তৌফিক হাসান ও নাজমা বেগম। এই যুগল বলেন, এখন পানি কম থাকায় ঝরনা দেখে মন জুড়ায় না। বর্ষায় ঝরনার আসল সৌন্দর্য বোঝা যায়। তবুও ঝরনার আশপাশের পাহাড়গুলোর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। তবে মীরসরাইয়ে ঘুরতে এলে আবাসনের সংকটে তারা ঝামেলা পোহান। তারা চান, পর্যটক উপযোগী ভালো মানের হোটেলমোটেল গড়ে উঠুক এখানে।

মীরসরাইয়ে হ্রদ ও ঝরনা মিলে যতগুলো পর্যটনস্থান আছে এর মধ্যে মহামায়া হ্রদে পর্যটক আসে সবচেয়ে বেশি। হ্রদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের মীরসরাই রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহেনশাহ নওশাদ বলেন, সমপ্রতি নতুন চারটি শৌচাগার, বসার কিছু বেঞ্চসহ অনেকগুলো অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। আর সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য তৎপর থাকতে হয়। আগামীতে বেসরকারি উদ্যোগে সহযোগিতার পাশাপাশি নিজেরাও বিশ্রামাগারের বিষয়ে উদ্যোগ নিবেন বলে জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাঁচদিন পর বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
পরবর্তী নিবন্ধশুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপিত