বাংলাদেশ এত বাজেভাবে লংকানদের কাছে সিরিজ হারবে, তা বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটভক্তই আশা করেন নি। শুধু সিরিজ খোয়নোই নয়, ষষ্ঠবারের মতো হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবলো বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশকে ১৯২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ১২ বারের মতো সিরিজ জিতে নিলো লঙ্কানরা। চট্টগ্রামে দুই ম্যাচের সিরিজের শেষ টেস্টে শ্রীলংকার দেওয়া ৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে গেছে ৩১৮ রানে। নিজেরা হাফ সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশকে সম্মানজনক একটি স্কোর গড়ে দেন মোমিনুল হক ও মেহেদি হাসান মিরাজ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সামনে ৫৩১ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করায় শ্রীলংকা। সেই রান তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে গেছে ১৭৮ রানে। প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানের বড় ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও বাংলাদেশকে ফলোঅন না করিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে শ্রীলংকা। তবে দ্বিতীয়বার ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের তোপের মুখে পড়ে লঙ্কানরা। অবশেষে ৭ উইকেটে ১৫৭ রান করে ইনিংস ঘোষণা দেয় সফরকারী দল।
ম্যাচ হারের পর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি বলেন আমাদের ব্যাটিংয়ের দিকে তাকালে দেখবেন, সবাই সেট হয়েছে ঠিকই কিন্তু বড় রান করতে পারেনি। এটা নিয়ে ভাবতে হবে। উইকেটে সেট হয়ে গেলে বড় রান করতে হবে। আমাদের বেশি করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে হবে। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে ক্রিজে সেট হয়েছিলেন স্বীকৃত সব ব্যাটারই। তবে হাফ সেঞ্চুরি করতে পেরেছেন কেবল দুই জন। তারা হলেন মোমিনুল হক (৫০) ও মেহেদি হাসান মিরাজ (৮১)। সে হিসেবে শান্তর কথা অমূলক নয়। এমনকি শান্ত নিজেও সেট হয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি। শান্ত বলেন এই সিরিজের তিন ইনিংসে আমরা যেভাবে ব্যাট করেছি আমরা আসলে তেমন ব্যাটার না। আমাদের আরো অনেক ভাল করার সামর্থ রয়েছে। তিনি বলেন এই ব্যাটিং নিয়ে কোন অজুহাত দেব না। অজুহাত দেওয়ার সুযোগও নাই। আসল কথা হচ্ছে আমাদের অনেক উন্নতি করতে হবে। প্রস্তুতির ঘাটতি হিসেবে এই ব্যর্থতাকে দেখতে চান না শান্ত। তিনি বলেন এসব বলা যাবে না এখন। আমাদের সবকিছুর সাথে মানিয়ে নিয়ে তবেই খেলতে হবে। এখানে কোন অজুহাত দেখানোর কোন সুযোগ নেই। কাজেই সত্যি কথা হচ্ছে আমরা ভাল খেলতে পারিনি এই সিরিজে।
