হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আজাদী ডেস্ক | বুধবার , ১৯ জুলাই, ২০২৩ at ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ

যদি মন কাঁদে/ তুমি চলে এসো, চলে এসো/ এক বরষায়…/ যদি মন কাঁদে/ তুমি চলে এসো, চলে এসো/ এক বরষায়…/ এসো ঝর ঝর বৃষ্টিতে/ জল ভরা দৃষ্টিতে/

এসো কোমল শ্যামল ছায়ায়’। বাংলা কথাসাহিত্যের নন্দিত পুরুষ হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। নিউইয়র্কে ক্যান্সারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১২ সালের এই দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। উপন্যাসে হিমু, মিসির আলির মতো অসংখ্য জনপ্রিয় চরিত্র তৈরি করে এখনো তিনি পাঠকের মনে বেঁচে আছেন। গল্প, উপন্যাস, নাটক, চলচ্চিত্র, গান রচনাসহ সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই তিনি বিচরণ করেননি। পাঠকদের বইমুখী করেছেন তিনি। বর্ষা হুমায়ূন আহমেদের খুবই জনপ্রিয়। আর সেই বর্ষায় তিনি চলে গেলেন। তাঁর প্রায় সৃষ্টিকর্মজুড়ে রয়েছে বৃষ্টিবন্দনা ও রবীন্দ্রনাথ।

১৯৭২ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’। লিখেছেন শতাধিক গ্রন্থ। দীর্ঘ পাঁচ দশক লেখালেখির সাথে যুক্ত ছিলেন। তাঁর লেখায় বাঙালি সমাজ ও জীবনধারার গল্প ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপিত হয়েছে। তিনি সৃষ্টি করেছিলেন গল্পবলার নিজস্ব ভাষাভঙ্গি। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাঁর বেশ কয়েকটি উপন্যাস রয়েছে।

১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। বাবা পুলিশ কর্মকর্তা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও গৃহিণী মা আয়েশা ফয়েজের প্রথম সন্তান তিনি। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। এ কথা সাহিত্যিকের প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশিত হয় ১৯৭২ সালে। উপন্যাসটি প্রকাশের পরই সাড়া জাগায়। তিনি ১৯৯৪ সালে ‘একুশে পদক’ লাভ করেন। এছাড়া তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮) লাভ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৮ মালিককে জরিমানা
পরবর্তী নিবন্ধসরকারের বেঁধে দেয়া দরে মিলছে না চিনি