জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বরখাস্তকৃত পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদ সাইফুল করিম ওরফে সাইফ আমিনকে ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। গতকাল সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর আইনজীবী মোহাম্মদ হায়দার তানভীরুজ্জামান বলেন, জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ক্লাবে জুয়ার আসর থেকে ১৮০ কোটি টাকা আয় করেন– বরখাস্তকৃত পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদ সাইফুল করিম ওরফে সাইফ আমিন ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে এমন মিথ্যা পোস্ট দেন। যা আদালতে আমরা ৮ জন সাক্ষী ও যুক্তি উপস্থাপন করে মিথ্যা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এ ঘটনায় একই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস–শামস জগলুল হোসেনের আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি করেন হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদ সাইফুলের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। একই বছরের ১৯ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। মামলায় বাদী সামশুল হক চৌধুরীসহ ৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮ জন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন।
জানতে চাইলে হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমি নিরাপরাদ মানুষ। আমি একটি পদে আছি। তাই কিছু স্বার্থন্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কুৎসা রটনা করে ফায়দা লুটার চেষ্টা করে। তা কখনো প্রমাণ হয়নি। কী কারণে বা কেন এ পুলিশ অফিসার আমার বিরুদ্ধে এ মিথ্যা অপবাদ দিল তা আমার বুঝে আসে না। প্রাথমিকভাবে এ রায়ে আমার বিজয় ও সত্যের জয় হয়েছে। আরো যে সমস্ত মিথ্যা অপবাদ আমার বিরুদ্ধে রটিয়েছে এবং এসব নিয়ে মামলা চলমান আছে, তাতেও আশাকরি সত্যের জয় হবে।