হায়রে তেল! তেলের তেলেসমাতিতে জনজীবনে অস্বস্তি

রফিক আহমদ খান | শুক্রবার , ১ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:১২ পূর্বাহ্ণ

তেল! ভোজ্যতেল, মানে সয়াবিন তেলের কথা বলছি। গত এক বছরে দাম বাড়তে বাড়তে এমন পর্যায়ে এসে ঠেকছে- যারা সংসার চালান, বাজার-সদাই করেন তাদের কাহিল অবস্থা। না-পারছে তেল কেনা ছাড়তে না-পারছে কান্না করতে! বাজারে গিয়ে-দোকানে গিয়ে শুধু তেল কিনলে তো হয় না, অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও কিনতে হয়। সম্প্রতি শুধু তেল নয় নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসেরই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। চাল, ডাল, আটা-ময়দা, চিনির দাম বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি-মানে খুব বেশি দাম বেড়েছে ‘সয়াবিন তেল’ এর দাম। সয়াবিন তেলের মূল্য বৃদ্ধি সয়াবিন তেলে সীমাবদ্ধ থাকলেও বলতাম ঠিক আছে!
তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে রেস্তোরাঁয় কোন খাবারের দাম বাড়েনি। বেকারির কোন খাবারের দাম বাড়েনি এই তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে। রেস্তোরাঁ ও বেকারির খাবারের কেউ কেউ মূল্য বৃদ্ধি করেননি! তবে তারা কী করেছেন? হ্যাঁ, তারা চমৎকার কায়দায় পণ্যের আকার ছোট করেছেন। যে রেস্তোরাঁয় আগে নাস্তা হিসেবে একটা সিঙ্গারা খেলে হয়ে যেত, সে রেস্তোরাঁয় এখন দুই-তিনটা সিঙ্গারা খেতে হয়। কারণ ওই রেস্তোরাঁয় দাম বাড়েনি, কিন্তু সিঙ্গারা, সমুচা হয়ে গেছে বড় পেঁয়াজুর আকারে। যারা আকার ছোট করেনি তারা দাম বাড়িয়েছে। কেউ কেউ মূল্য বৃদ্ধিও আকার ছোট দুটোই করেছে। এভাবে সব খাদ্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে মাছ, মাংস, তরিতরকারির দামও আগের অবস্থানে নেই। এই সবেরও মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে সংসার চালাতে। মনে হচ্ছে এই সময়ে দ্রব্য মূল্য যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, গত এক যুগে এমন নাকাল অবস্থা আর হয়নি। শুধু এক ‘সয়াবিন তেল’ এর কারণে বহু খাদ্যের দাম বেড়েছে।
আমাদের বাণিজ্যমন্ত্রী, যিনি আগে ছিলেন ব্যবসায়ী নেতা-তাঁর কাছে হয়ত মূল্য বৃদ্ধির যুক্তি আছে। তবে এই যুক্তি দিয়ে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব হবে না। এমনকি মানুষের মনেও সান্ত্বনা পাবে না। যে কোনো উপায়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য কমাতে পারলেই জনজীবনে স্বস্তি আসবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরেশনিং পদ্ধতির মাধ্যমে দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করা হোক
পরবর্তী নিবন্ধপরিবর্তিত এক বাংলাদেশ দেখার স্বপ্ন দেখি