হাসপাতালে ঢুকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২ নেতাকে কোপাল কিশোর গ্যাং

পটিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৬:০৫ পূর্বাহ্ণ

পটিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতাকে রামদা ও কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে চিহ্নিত কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এতে উপজেলা যুবলীগ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হানিফের পুত্র আমানুল্লাহ শিমুল (৩৮) ও পটিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জিয়াউল হক রুবেল (২২) গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে পটিয়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় পৌরসদরের কামাল বাজার ও পটিয়া হাসপাতালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহত আমানুল্লাহ শিমুলের বড় ভাই সাইফুল্লাহ পলাশ রাতে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান। তিনি বলেন, এ হামলায় নেতৃত্ব দেয় উপজেলার কেলিশহর গ্রামের জোবাইদ ও পৌরসদরের সুচক্রন্ডী এলাকার খোকন দাশের পুত্র জুলু দাশ।

জানা গেছে, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কেলিশহর থেকে মোটর সাইকেল নিয়ে নুরুল আলম নামের এক ব্যক্তি পটিয়ার দিকে আসছিলেন। এ সময় পটিয়া রেলস্টেশন এলাকায় একটি সিএনজি টেঙির সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলের সামনের লাইট ভেঙে যায়। এ ঘটনার জেরে সিএনজি টেঙিটি পৌরসদরের কামাল বাজার এলাকায় আটকে রাখাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতা জিয়াউল হক রুবেলের সঙ্গে কিশোর গ্যাং সদস্য জোবায়েদের বাকবিতণ্ডা ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে জিয়াউল হক রুবেল আহত হয়ে পটিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। খবর পেয়ে তার বন্ধু যুবলীগ নেতা আমানুল্লাহ শিমুল দেখতে আসেন।

এ সময় অতর্কিতভাবে রাম দা ও কিরিচ নিয়ে জোবাইদ ও জুলু দাশের নেতৃত্বে ১০-১২ জন যুবক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হামলা করে। এতে আমানুল্লাহ শিমুল বাধা দিলে তাকে হাসপাতালের ভেতর তাড়া করে রামদা দিয়ে বাম বাহুতে কুপিয়ে জখম করে। এতে তার হাতের দুই তৃতীয়াংশ কেটে যায়। এসময় রুবেলের পায়ে কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে দ্বিতীয় দফায় জখম করা হয়। ঘটনার পর হামলাকারী যুবকরা রাম দা কিরিচ উচিয়ে উল্লাস করে হাসপাতাল এলাকা ত্যাগ করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

পটিয়া হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ইমদাদ হোসেন জানান, অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর চমেকে প্রেরণ করা হয়েছে।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, রেল স্টেশনের ঘটনা শুনেছি। তবে হাসপাতালে কোপানোর ঘটনা জানি না। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্তের, কেউ ছিন্ন করতে পারবে না’
পরবর্তী নিবন্ধপুকুরে মাছ, পাড়ে পেঁপে চাষ পটিয়ার খরনা