হালদা নয়- পানির বিকল্প উৎস প্রসঙ্গে

মিরসরাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর

ড. মনজুর-উল-আমিন চৌধুরী | শনিবার , ২০ মার্চ, ২০২১ at ৫:৫৬ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ- বেজা’র উদ্যোগে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে প্রায় ৩০ (ত্রিশ) হাজার একর এলাকা জুড়ে গড়ে উঠছে দেশের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক অঞ্চল ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর’। এটার কিয়ংদশ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও ফেনীর সোনাগাজী পর্যন্ত বিস্তৃত। শিল্প নগরটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে ১০ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম শহরে থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে। প্রকাশিত তথ্যে জানা যায় এ শিল্প নগর ২০২১-২০২৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হলে এতে বিনিয়োগ হবে ১৯ বিলিয়ন ডলার, কর্মসংস্থান হবে অন্ততঃ ১৫ লাখ মানুষের এবং এ শিল্প নগর পুরোপুরি চালু হলে এতে প্রতিদিন পানি লাগবে ১২০ কোটি লিটার।
২৮ নভেম্বর ২০২০ চিটাগাং চেম্বার আয়োজিত ‘চট্টগ্রামের উন্নয়ন, শিল্পায়ন ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, “চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে পানি সংকট কাটাতে হালদা নদী থেকে পানি সরবরাহের চিন্তা করছে মন্ত্রণালয়। এই উৎস থেকে পানি নেওয়া অনেক সহজ ও সাশ্রয়ী বলেই এ পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে লবণাক্ত পানির কারণে শিল্পায়ন ব্যাহত হচ্ছিল। তাই কর্ণফুলী ও হালদা নদীসহ বিভিন্ন বিকল্প উৎস থেকে স্বাদু পানি সংগ্রহের জন্য একটি স্টাডি করা হয়। সেই স্টাডিতে কর্ণফুলী ও হালদা নদী থেকে পানি সরবরাহের সুপারিশ করা হয়েছে। এ জন্য সেই পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি আমরা। হালদা নদীর পানির মাত্র ১শতাংশ আমরা নেব পরিবেশ সম্মতভাবে এবং জীব বৈচিত্র্য অক্ষুণ্ন রেখেই”। ২ জানুয়ারি ২০২১ চট্টগ্রামে চীন থেকে দান হিসেবে পাওয়া সড়কবাতি নগর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর অনুষ্ঠানেও স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য হালদা থেকে পানি নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন, হালদা থেকে পানি নিলে কোন ক্ষতি হবে না মর্মে আশ্বস্ত করেন। মন্ত্রীর উপর্যুপরী এ ঘোষণায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানায় হালদা পাড়ের মানুষ, হালদার অংশীজন, উপকারভোগী, পানি-প্রকৃতি-পরিবেশ ও পানির নীচে প্রাণ (খরভব নবষড় িধিঃবৎ) প্রেমী মানুষ, উন্নয়ন সংগঠক এবং সর্বোপরি হালদা নদী রক্ষা কমিটি। মোদ্দা কথায় তাদের বক্তব্য হচ্ছে হালদা এমনিতেই ভারাক্রান্ত এবং হালদা থেকে আরো পানি উত্তোলনের সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী।
নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ। প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের রয়েছে ৫৪টি অভিন্ন নদী। দেশে নদীর সংখ্যা সাতশোর বেশি- যদিও দখলে দূষণে এগুলোর অস্তিত্ব হুমকির মুখে। “স্বাধীনতার আগে দেশে নৌপথের দৈর্ঘ্য ছিল ২৪ হাজার ১০০ কিলোমিটার। এখন সে দৈর্ঘ্য ৫ হাজারের নিচে নেমে এসেছে।” (প্রথম আলো ১০ আগস্ট ২০১৮)। হালদা নদী হাসুক পাড়া পাহাড়, রামগড় খাগড়াছড়ি হতে উৎপত্তি লাভ করে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি, রাউজান, হাটহাজারী ও পাঁচলাইশ থানার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মোহরা, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে মিলিত হয়েছে। নদীটির দৈর্ঘ্য ৯৪ কি.মি গড় প্রস্থ ১৩৪ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। হালদা সংলগ্ন ৪টি নদী-কর্ণফুলী, সাঙ্গু, চাঁদখালী, শিকলবাহা এবং হালদা নদীর সংযুক্ত ১৭টি খাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসা নগরবাসীর দৈনন্দিন পানির চাহিদা মেটানোর জন্য মোহরা পানি শোধনাগার ও মদুনাঘাট পানি শোধনাগারের জন্য দৈনিক ৩৯ কোটি লিটার পানি উত্তোলন করে হালদা থেকে। “নগরে গড়ে পানির চাহিদা ৪২ কোটি লিটার। চট্টগ্রাম নগরের ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে অন্ততঃ ছয়টি ওয়ার্ডে এখনো ওয়াসার সংযোগ নেই বলে জানিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলররা। বিশেষ করে দক্ষিণ পাহাড়তলী, জালালাবাদ, উত্তর পতেঙ্গা ও বাকলিয়া এলাকার কিছু অংশ এখনো ওয়াসার পানি থেকে বঞ্চিত রয়েছে” (প্রথম আলো, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০)। অর্থাৎ বর্তমান অবস্থায়ও পানির চাহিদা এবং যোগানে ঘাটতি রয়েছে। অধিকন্তু চট্টগ্রাম শহরের দ্রুত বিস্তৃতি, ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ ও দ্রুত আবাসন – শিল্পায়নের কারণে পানির বর্তমান ঘাটতি ও ক্রমবর্ধমান চাহিদার যোগান দিতে গিয়ে হালদা ক্রমশঃ ঝুঁকিতে পড়বে- এটাই বাস্তবতা। ওয়াসার এই দুইটি প্রকল্প ছাড়া ভূজপুর ও হারুয়ালছড়ি রাবার ড্যাম এবং ধুরং খালের বাঁধ আছে, আরো রয়েছে ১৮টি স্লুইস গেট এবং সত্তারঘাটে পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্যারালাল ক্যানেল প্রকল্প। এসব প্রতিকূলতার কারণে এমনিতেই হালদার পানি প্রবাহ সন্তোষজনক নয়। শীতকালে নাজিরহাট, ধলই এলাকায় হেঁটে হালদা পার হওয়া যায় এবং কোথাও কোথাও বালির চর উঠেছে যা দ্রুত খনন অতীব জরুরি। হালদা দক্ষিণ এশিয়ায় কার্প জাতীয় (রুই, কাতলা, মৃগেল, কালি বাউস) মাছের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র। হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস প্রজনন ক্ষেত্র সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য অধিদপ্তর (২০০৭-২০১২) পাঁচ বছর মেয়াদী ‘হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র পুনরুদ্ধার প্রকল্প’ সম্পন্ন করেছে।
আমাদের অর্থনীতিতে হালদার ডিম, রেণু ও তদউৎপাদিত মাছের অবদানও উল্লেখ্যযোগ্য। প্রকাশিত তথ্যে জানা যায় ইতোমধ্যে দূষণে বিলুপ্ত হালদার ১৫ প্রজাতির মাছ। জোয়ারভাটার নদী হালদা। দেশের প্রধান প্রধান অন্য ক’টি নদীর চেয়ে হালদার স্বকীয়তা হচ্ছে হালদা বাংলাদেশেরই নদী অর্থাৎ উৎসমুখ খাগড়াছড়ি এবং পথ পরিক্রমায় মিলিত হয়েছে কর্ণফুলীতে।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদী কৌলিতাত্ত্বিকভাবে (Genetic) বিশুদ্ধ এবং স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের রুই জাতীয় (রুই, কাতলা, মৃগেল এবং কালিবাউস) মাছ এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে অমাবস্যা বা পূর্ণিমার তিথিতে ডিম দেয় এই নদীতে। এছাড়া এখানে আছে বিপন্ন প্রজাতির গাঙ্গেয় ডলফিন, কয়েক প্রজাতির স্বাদু পানির মাছ এবং কয়েক প্রজাতির চিংড়ি (গলদা চিংড়ি অন্যতম)। এক সময় মৌসুমে রুই জাতীয় মাছেরা এখানে প্রচুর ডিম ছাড়তো, জানা যায় ১৯৪৫ সালে এর পরিমাণ ছিল ২৪৭০ কেজি (আজাদী, ১৯৭৯)। মনুষ্য সৃষ্ট নানা প্রতিবন্ধকতা যেমন- নির্বিচারে মা মাছ শিকার, নদীর তীরে ইটের ভাটা, তামাক চাষ, যান্ত্রিক নৌযান, নদী থেকে বালু উত্তোলন, নদীর বাঁক কর্তন, স্লুইস গেট, রাবার ড্যাম নির্মাণ, আবাসিক/গৃহস্থালী- কলকারখানার বর্জ্য, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিঃসরিত তৈল, কৃষিজ বর্জ্য বিশেষ করে চা বাগানের কেমিক্যাল মিশ্রিত বর্জ্য, মুরগির খামারের বর্জ্য, সংযুক্ত খালগুলোর বর্জ্য ও দূষিত পানি এবং চিংড়ি শিকারের জন্য ব্যবহৃত কেমিক্যালস, নদীর পাড়ের স্থাপনাসমূহ, ঘাট, দোকানপাট, হাট বাজারের বর্জ্য ইত্যাদি কারণে হালদা নদীর উৎপাদনশীলতা দিন দিন কমতে থাকে। ২০১৬ সালে এখানে মাত্র ৭৩৫ কেজি নমুনা ডিম পাওয়া যায়। এ প্রেক্ষাপটে হালদা পাড়ের সন্তান পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাক্তন মুখ্য সচিব মোঃ আবদুল করিম এর উদ্যোগে পিকেএসএফ-ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (আইডিএফ) এর মাধ্যমে ২০১৫-১৬ সাল হতে ইফাদের সহযোগিতায় “হালদা নদীতে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র সংরক্ষণ ও উন্নয়ন” শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ফলশ্রুতিতে ব্যাপক নজরদারী, পরির্চযা, সচেতনতা ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা, নিরাপত্তা জোরদার করার কারণে ২০২০ সালে রেকর্ড পরিমাণ ২৫,৫৩৬ কেজি ডিম পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সাংসদদ্বয়ের ভূমিকা ও প্রশংসনীয়।
হালদা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ মনজুরুল কিবরীয়ার তত্ত্বাবধানে আইডিএফ-পিকেএসএফ এর সহযোগিতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালিত হচ্ছে হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরী, রয়েছে ওয়েবসাইট যার কারণে হালদার সম্পর্কে ব্যাপক পরিচিতি ও জনসচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট নীতি নির্ধারক মহলেও।
২১ ডিসেম্বর ২০২০ প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী সরকার হালদা নদীকে “বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ” হিসেবে ঘোষণা করেছে। গেজেটে উল্লেখিত শর্ত সমূহ:
“(ক) এ নদী হতে কোন প্রকার মাছ ও জলজ প্রাণি ধরা বা শিকার করা যাবে না। তবে মৎস্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে প্রতি বছর প্রজনন মৌসুমে নির্দিষ্ট সময়ে মাছের নিষিক্ত ডিম আহরণ করা যাবে; (খ) প্রাণি ও উদ্ভিদের আবাসস্থল ধ্বংসকারী কোন প্রকার কার্যকলাপ করা যাবে না; (গ) ভূমি ও পানির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য নষ্ট/পরিবর্তন করতে পারে এমন সকল কাজ করা যাবে না; (ঘ) মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণির জন্য ক্ষতিকারক কোনো প্রকার কার্যাবলী করা যাবে না; (ঙ) নদীর চারপাশের বসতবাড়ি, শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পয়ঃপ্রণালী সৃষ্ট বর্জ্য ও তরল বর্জ্য নির্গমণ করা যাবে না; (চ) কোনো অবস্থাতেই নদীর বাঁক কেটে সোজা করা যাবে না; (ছ) হালদা নদীর সাথে সংযুক্ত ১৭টি খালে প্রজনন মৌসুমে (ফেব্রুয়ারি-জুলাই) মৎস্য আহরণ করা যাবে না; (জ) হালদা নদী এবং এর সংযোগ খালের উপর নতুন করে কোনো রাবার ড্যাম এবং কংক্রিট ড্যাম নির্মাণ করা যাবে না; (ঝ) ‘বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ তদারকি কমিটি’ এর অনুমতি ব্যতিরেকে হালদা নদীতে নতুন পানি শোধনাগার, সেচ প্রকল্প স্থাপনের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করা যাবে না; (ঞ) পানি ও মৎস্যসহ জলজ প্রাণির গবেষণার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ তদারকি কমিটি এর অনুমতি ক্রমে হালদা নদী ব্যবহার করা যাবে; (ট) মাছের প্রাক-প্রজনন পরিভ্রমণ সচল রাখার স্বার্থে হালদা নদী এবং সংযোগ খালের পানির প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না; (ঠ) রুইজাতীয় মাছের প্রাক-প্রজনন এবং প্রজনন মৌসুমে (মার্চ-জুলাই) ইঞ্জিন চালিত নৌকা চলাচল করতে পারবে না।”
গেজেটে হালদা নদী- নদীপাড়, ভূমি, মাছ, জলজ প্রাণি, উদ্ভিদ, পানির প্রবাহ, নদীর গতি, দূষণ ইত্যাকার বিষয় সংযোজিত হয়েছে যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বিশেষ করে লক্ষ্য ১, ২, ৩, ৬, ৮, ১০, ১৩, ১৪ ও ১৫ অর্জনে সংগতিপূর্ণ এবং সহায়ক। অন্য ক’টি নদী থেকে হালদার পানির বৈশিষ্ট্য কিছুটা ভিন্নতর তা ভৌতিক এবং রাসানিয়ক উভয় বিবেচনায়। হালদার এই যে বিশেষ বৈশিষ্ট্য স্বকীয়তা ও সংবেদনশীলতা রক্ষা পেলেই হালদা প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে টিকে থাকবে এর ব্যর্তয় ঘটলে নয়। উদ্বেগের বিষয় হল যে, ৯৪ কিলোমিটার হালদার মাত্র ২৯ কিলোমিটার সারা বছর বড় নৌকা চলাচলের উপযোগী থাকে অধিকন্তু লবণাক্ততার ঝুঁকি বাড়ছে ক্রমশঃ। পোণা উৎপাদনকারীদের অভিযোগ ২০২০ সালে ২৫,৫৩৬ কেজি ডিম পাওয়া গেলেও তার প্রায় অর্ধেকটাই পচে গেছে লবণাক্ততার কারণে। (চলবে)
লেখক : সমাজ বিজ্ঞানী ও সিনেট সদস্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং চেয়ারম্যান, ঘাসফুল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনাম হোক ‘জয় বাংলা’ উদ্যান
পরবর্তী নিবন্ধহল্যান্ড থেকে