হাফিজুরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ এলএসডি

| শুক্রবার , ২৮ মে, ২০২১ at ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর তদন্তে নেমে এলএসডির যোগসূত্র পাওয়ার কথা জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, এলএসডি (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইইথ্যালামাইড) সেবন করেছিলেন এই তরুণ, আর তারপরই বিভ্রম ঘটায় নিজেই নিজেকে হত্যা করেন তিনি। ঈদের পর দিন ১৫ মে জরুরি কাজের কথা বলে ঢাকার রওনা হয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা গ্রামের ইমাম মুজিবুর রহমানের ছেলে হাফিজুর। তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। আট দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার লাশ শনাক্ত করে পরিবার। খবর বিডিনিউজের।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে শাহবাগ থানার ওসি মামুন অর রশিদ বলেছিলেন, ১৫ মে রাত পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে ডাব বিক্রেতার কাছ থেকে দা নিয়ে নিজের গলা নিজেই কাটতে থাকেন হাফিজুর। আর বলছিলেন- আমাকে মাফ করে দাও। তখন হাফিজুর মারা গেলেও তার পরিচয় শনাক্ত হয়নি। পরিচয় জানার পর এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ খুঁজতে নেমে ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর গতকাল ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার ঢাবি ছাত্র হাফিজুরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর সঙ্গে এলএসডির যোগসূত্র খুঁজে পাওয়ার কথা জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফটিকছড়ি থেকে আরো এক হেফাজত নেতা গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধউপহারের বাড়ির জায়গায় আওয়ামী লীগ নেতার পুকুর খনন!