হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা তৈরি করল

প্রিমিয়ার ভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ

| শুক্রবার , ২৮ মে, ২০২১ at ৭:৩০ পূর্বাহ্ণ

করোনা রোগীদের প্রধান চাহিদা হলো উচ্চমাত্রার অক্সিজেন প্রবাহ। একজন করোনা রোগীর মিনিটে ৫০ থেকে ১০০ লিটার অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, যা হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার মাধ্যমেই প্রদান করা সম্ভব। এই ক্যানোলার বাজারমূল্য ২ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা। একারণে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেরও বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কম মূল্যের হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা তৈরি করার চেষ্টা করছে। সমপ্রতি প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ কম মূল্যের হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা তৈরি করেছে। এই ক্যানোলা দিয়ে মিনিটে ৫০ থেকে ৭০ লিটার অক্সিজেন একজন করোনা রোগীকে প্রদান করা সম্ভব। এই অক্সিজেনের ঘনত্ব ২০ থেকে ৫৪ শতাংশ। ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান টুটন চন্দ্র মল্লিকের তত্ত্বাবধানে ক্যানোলাটি তৈরি করেছেন বিভাগের শেষ বর্ষের তিন শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, জিতু দাশ ও নুরুল আজিজ।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য কার্যালয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেনকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৈরিকৃত হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলাটি প্রদর্শন করা হয়। তিনি বলেন, করোনা রোগীদের জীবন রক্ষা করার জন্য দেশের হাসপাতালগুলো উচ্চমূল্যে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা বিদেশ থেকে আমদানি করছিল। এতে রোগীদের চিকিৎসা-খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছিল। তাই দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম মূল্যের হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা তৈরির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিল। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা সমপ্রতি এ ধরনের ক্যানোলা তৈরি করে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসনীয় কাজ করেছে।
তিনি ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কম মূল্যের হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা তৈরির জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এই ক্যানোলা প্রজেক্টের তত্ত্বাবধায়ক টুটন চন্দ্র মল্লিক বলেন, কম দামে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা তৈরির প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো অঙিজেনের প্রবাহের সাথে সাথে অঙিজেনের ঘনত্ব, আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা। এই বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করার জন্য প্রকৌশলী ও চিকিৎসকের সমন্বয় প্রয়োজন। তিনি উল্লেখ করেন, এই প্রজেক্টে মেডিকেল এঙপার্ট হিসেবে সহায়তা করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. মোহাম্মদ চৌধুরী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক, রেজিস্ট্রার খুরশিদুর রহমান, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন মুন্না, কম মূল্যের হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলাটির উদ্ভাবক বিভাগের শেষ বর্ষের তিন শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, জিতু দাশ ও নুরুল আজিজ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৬০০০ পয়েন্ট ছুঁইছুঁই সূচক, ৩ বছরে সর্বোচ্চ
পরবর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে জাহাজ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু