হাই কোর্টে বড় ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড বহাল

রাউজানে দুই ভাই খুন

| শুক্রবার , ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৪:৩২ পূর্বাহ্ণ

সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে রাউজানে আট বছর আগে ছোট দুই ভাইকে খুনের দায়ে বড় ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছে হাই কোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামির আপিল খারিজ করে এ রায় দিয়েছে বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান এবং আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান। শাহীন আহমেদ বলেন, ‘বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের আবেদন (ডেথ রেফারেন্স) গ্রহণ করে আসামির আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। ফলে বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ডাদেশই বহাল রইল।’ এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কিনা জানতে আসামি পক্ষের আইনজীবীকে কয়েকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। খবর বিডিনিউজের।
দুই ভাইকে হত্যার দায়ে ২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রবি-উজ-জামান আসামি আবুল কালাম আজাদকে মৃত্যুদণ্ড দেন। নিয়ম অনুযায়ী বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করতে হলে হাই কোর্টের অনুমোদন লাগে। সে অনুমোদনের জন্য বিচারিক আদালতের রায় ও মামলার যাবতীয় নথি আবেদনসহ হাই কোর্টে পাঠাতে হয়; যা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে পরিচিত। বিচারিক আদালতের রায়ের পর ডেথ রেফারেন্স হাই কোর্টে আসে। পাশাপাশি রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করেন আসামি আবুল কালাম আজাদ। ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির পর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দিল উচ্চ আদালত।
কী ঘটেছিল : ২০১৩ সালের ২২ জুলাই রাউজান উপজেলার সুলতানপুর গ্রামে কাজী বাড়ির আবুল কালাম আজাদ তার ছোট দুই ভাইকে কিরিচ (চাকু বিশেষ) দিয়ে মারাত্মক জখম করেন। আহত দুই ভাই আবু সুফিয়ান আজাদ (৪৮) ও আবু মোর্শেদ আজাদ (৩৫) ঘটনার দিনই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় সুফিয়ানের স্ত্রী ইসমত আরা নাসরিন বাদি হয়ে ভাসুর আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড হয় বলে অভিযোগ করা হয়। ঘটনার পরপর আবুল কালাম পালিয়ে গেলেও পরে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ২০১৩ সালের ৩ আগস্ট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ওই বছরই ৩০ অক্টোবর আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে আদালত। পরে ২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় বিচারিক আদালত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএখন থেকে ৩ ঘণ্টার পিটিই একাডেমিক ২ ঘণ্টায়
পরবর্তী নিবন্ধচেক প্রতারণা মামলা ব্যবসায়ীর দেড় কোটি টাকা জরিমানা