অনিয়ন্ত্রিত ঝাঁঝালো হর্নের শব্দে প্রতিদিন সড়কগুলো কেঁপে কেঁপে উঠছে। এ থেকে মুক্তির যেন কোন পথ নেই! জরিমানার বিধান থাকলেও হাইড্রোলিক হর্নের শব্দের দূষণ বেড়েই চলেছে। এর আগে হাইকোর্ট গাড়িতে হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু তারপরও এই অপতৎপরতা কমেনি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শব্দ দূষণ যে কোন মানুষের জন্য ক্ষতিকর হলেও এতে শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও ট্রাফিক পুলিশ, রিকশা বা গাড়ি চালক, রাস্তার নিকটস্থ শ্রমিক বা বসবাসকারী মানুষ অধিকহারে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। মানুষের শ্রবণ সীমার স্বাভাবিক মাত্রা ৪৫ ডেসিবল। যার বেশি হলে শব্দ দূষণে পরিণত হয় যা মানুষের শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে। শব্দ দূষণের ফলে মানুষের শ্রবণ ক্লান্তি এবং সর্বশেষ বধিরতা পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া যে সকল রোগ হতে পারে তার মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ,কণ্ঠনালীর প্রদাহ, আলসার, মস্তিষ্কের রোগ, কাজ করার ক্ষমতা হ্রাস, বদমেজাজ বা খিটখিটে মেজাজ, ক্রোধ প্রবণতা, স্নায়বিক দুর্বলতা, রক্তনালীর সংকোচন এবং হার্টের সমস্যা অন্যতম। ভুক্তভোগীদের মতে, শব্দ দূষণের ফলে তারা বিভিন্ন সমস্যায় পড়ছেন প্রতিদিন। হঠাৎ করে হর্ন বাজানোর ফলে অনেকেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। শব্দ দূষণ সমস্যার নামমাত্র জরিমানা থাকলেও তাও মানা হচ্ছেনা। যে কারণে শব্দ দূষণকারীরা আরো উৎসাহ পাচ্ছে। শব্দ দূষণ তথা গাড়ির হর্নের আওয়াজ নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি কঠোর আইন ও জরিমানার পরিমাণ বৃদ্ধির ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতালসহ বিভিন্ন জরুরি স্থানে হর্ন বাজানো নিষিদ্ধ করতে হবে। চালকদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সকলেই যদি সচেতন হয় তাহলে শব্দ দূষণ তথা গাড়ির হর্ন নিয়ন্ত্রণ কঠিন কিছু হবে না।