খুব বাজে সময় গেছে এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের। প্রত্যাশার সাথে প্রাপ্তির মিল হয়নি মোটেও। তবে সেটা অতীত হয়ে গেছে। বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ আজ প্রথম নামছে সেই টি-টোয়েন্টি ফরমেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে। তবে এবার বাংলাদেশ ক্রিকেটের নতুন ধাপে পদার্পন হবে। বিশ্বকাপের ধাক্কায় উলট-পালটের হাওয়া বইছে দলে। পরিবর্তিত বাংলাদেশের নতুন পথচলা শুরু হচ্ছে আজ।
শুক্রবার দুপুর ২টায় মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি খেলতে নামবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের দলে থাকা ৬ ক্রিকেটারের জায়গা হয়নি পাকিস্তান সিরিজের দলে। ছেঁটে ফেলা হয়েছে লিটন দাস, সৌম্য সরকারদের। নেই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও। মুশফিক, লিটন, সৌম্যদের ছেঁটে ফেলে পাকিস্তান সিরিজের জন্য তরুণ ইয়াছির আলী রাব্বি, সাইফ হাসান, আকবর আলী, শহিদুল ইসলামদের দলে ডেকেছেন নির্বাচকরা। ইয়াছির আলী রাব্বি অনেকদিন জাতীয় দলের আশেপাশে থাকলেও আকবর আলী ও শহিদুল ইসলামরা একেবারেই নতুন। সাইফ হাসান জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট খেললেও ছিলেন টি-টোয়েন্টি দলের অনেক বাইরে।
এদিকে সেমিফাইনাল থেকে ফিরলেও পাকিস্তান এবারের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছে। বিশ্বকাপে নতুন বলে শাহিন শাহ আফ্রিদি ছিলেন রীতিমতো ভয়ংকর। শাদাব খানরা আছেন ফর্মে। বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান সারা বছরের মতো বিশ্বকাপেও ছিলেন দুর্দান্ত। অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক আছেন ছন্দে। পূর্ণশক্তির দল নিয়েই বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে এসেছে পাকিস্তান। অর্থাৎ একদিকে দুর্দান্ত পাকিস্তান, অন্য দিকে বিশ্বকাপে পথভ্রষ্ট তরুণ বাংলাদেশ। নিশ্চয় কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য। গতকাল ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ স্বীকার করেছেন, তরুণ দল, এটা কিছুটা চ্যালেঞ্জের তো হবেই। তবে চাপের কিছু নেই এতে। এটা চ্যালেঞ্জিং একটা সিরিজ হবে। শাহীন শাহ আফ্রিদি ওদের বেশিরভাগ ম্যাচেই দলে বড় ভূমিকা রাখছে, বিশেষ করে নতুন বলে। ওই জিনিসটা আমাদের মাথায় আছে, আমরা পর্যালোচনা করেছি।
ওদিকে পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজম বলেন, বাংলাদেশকে সহজ মনে করছেন না তারা। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডকে সিরিজ হারিয়েছে সেটি মনে করিয়ে দেন পাকিস্তানি তারকা। আজ ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাবর বলেন, বাংলাদেশ ঘরের মাঠে সহজ প্রতিপক্ষ নয়। তারা নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিকট অতীতে দারুণ পারফরম্যান্স করেছে। তারা কতটা সামর্থ্যবান, সেটা করে দেখিয়েছে। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে কারা কারা মাঠে নামছেন তা মোটামুটি নিশ্চিত। ম্যাচের আগের দিন ১২ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। যেখানে বিশ্বকাপে দারুণ পারফর্ম করা ইমাদ ওয়াসিম, আসিফ আলীরা নেই। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে তাদের। ডাকা হয়েছে হায়দার আলী, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের মতো তরুণদের।
বাংলাদেশের একাদশে ওপেনিংয়ে নাইম শেখের সঙ্গী হচ্ছেন তরুণ সাইফ হাসান। তিনে সাকিবের জায়গায় প্রবল সম্ভবনা অপর তরুণ নাজমুল হোসেন শান্তর। মুশফিকুর রহিমের জায়গায় ইয়াছির আলী রাব্বির অভিষেক হওয়ার সম্ভবনা বেশি। বোলিং আক্রমণে খুব বেশি পরিবর্তন হওয়ার সম্ভবনা কম। প্রথমবার স্কোয়াডে ডাক পাওয়া তরুণ পেসার শহিদুলকে বাইরে রেখে মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইলামের মাঠে নামার সম্ভবনাই বেশি। সাকিবহীন স্পিন আক্রমণে শেখ মেহেদি হাসানের সঙ্গী হতে পারেন নাসুম আহমেদ।
