ডোপ টেস্টে সিএমপিতে চাকরি হারালেন ৬ জন

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৯ নভেম্বর, ২০২১ at ৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ

যারা অপরাধ নির্মূলে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছেন, সেই পুলিশ সদস্যরা জড়িয়ে পড়ছেন নানা অপরাধে। মাদক সেবন থেকে শুরু করে মাদক কেনাবেচাতেও জড়িয়ে পড়ছেন সরকারি এ ফোর্সের বিপদথগামী সদস্যরা। তবে পুলিশের নিজস্ব তদন্তে ও বিভিন্ন মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত এক বছরে সিএমপির ২৭ জন সদস্যকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। তম্মধ্যে ডোপ টেস্টে (মাদকাসক্তি পরীক্ষা) পজিটিভ হয়ে ৬ জন চাকুরি হারিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন যেসব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে গত এক বছরে সিএমপির প্রায় ২০০ জন সদস্যকে ডোপ টেস্ট করানো হয়েছে। তম্মধ্যে ১১ জনের পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে সিএমপি। এর মধ্যে ৬ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বাকি ৫ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ডোপ টেস্টের বাইরে আরও ২১ জনকে বিভিন্ন অপরাধে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তম্মধ্যে কিছু পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত অপরাধও রয়েছে। যৌতুকের মামলা, যা আদালত বা আমাদের কাছে প্রমাণিত হয়েছে। কর্মস্থলে অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকা বা যারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। মাদকের সঙ্গে বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।
সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, পুলিশের চাকুরিটা চ্যালেঞ্জিং। এখানে অপরাধে জড়িয়ে পড়ার সুযোগ থাকে। অপরাধ থেকে পুলিশ সদস্যদের দূরে রাখার জন্য প্রথমে আমরা একটা কোয়ালিটি সম্পন্ন কর্মস্থল দেওয়ার চেষ্টা করি। আমরা বিভিন্ন সময়ে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মোটিভেশনাল কথাবার্তা বলে থাকি। পুলিশের মধ্যেও অপরাধ করলে শাস্তির বিধান যে কঠিন সে বার্তাটি আমরা তাদের দিয়ে থাকি। আবার কোনো ব্যক্তির দায় বাহিনী কখনো নেবে না, সেটাও তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে আমরা প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে ম্যাসেজ দিতে সমর্থ হয়েছি যে, অপরাধ করলে কোনো ছাড় নেই। আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা ও মনিটরিং অত্যন্ত নিবিড়। অপরাধ করে কেউ ছাড় পাবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহতাশা ঝেড়ে নতুন পথচলা
পরবর্তী নিবন্ধএই শহর আরো সুন্দর দেখতে চাই