সড়ক ভেঙে খাল, বাঁশের সাঁকোতে পারাপার

রাঙ্গুনিয়ার লালানগরের আকবর নগর সড়কে দুর্ভোগ

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৩০ আগস্ট, ২০২২ at ৬:২৩ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের ছনখোলাবিল আকবর নগর সড়কটি মাঝ বরাবর ভেঙে গেছে। এই সড়ক পথে পেকুয়ারকুল ব্রিজ নির্মাণ করতে গিয়ে খাল বন্ধ করায় পানির স্রোতে সড়কটি ভেঙে যায় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয়রা এটিতে এখন বাঁশের সাঁকো বানিয়ে চলাচল করছেন। তীব্র দুর্ভোগে থাকা ছনখোলাবিলবাসী দীর্ঘদিনের কাঁচা সড়কটি পাকা করারও দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, লালানগর ইউনিয়নের আকবর সিকদার পাড়া সড়ক থেকে ছনখোলাবিল আকবর নগর সড়কটি জাইতছড়ি গিয়ে শেষ হয়েছে। ৫.৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের কাঁচা রাস্তাটি দিয়ে চরম দুর্ভোগে চলাচল করেন স্থানীয়রা। বর্ষাকালে এই দুর্ভোগ দ্বিগুন আকার ধারন করে। সম্প্রতি এই সড়কের পাশে পেকুয়ারকুল খালের উপর ব্রিজ নির্মাণ করছে এলজিইডি। প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মাণ করতে গিয়ে খাল বন্ধ করায় পানি চলাচলে বাঁধাগ্রস্ত হয়। এতে খালের পানির স্রোতে সড়কের মাঝ বরাবর ভেঙে গিয়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা ভেঙে যাওয়া সড়কে বাঁশের সাঁকো বানিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফকিরটিলা এলাকায় ভাঙা সড়কের উপর এই বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি দিয়ে স্থানীয় জনসাধারণ, গৃহপালিত পশু চরম ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে। এছাড়া কাঁচা রাস্তায় বছরের পর বছর পথে পথে দুর্ভোগ যেনো নিত্য সঙ্গী এই এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দাদের। নড়বড়ে ওই সাঁকো দিয়ে কৃষকরা তাদের প্রয়োজনীয় মালামাল নিতে পারেন না। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন স্কুল-কলেজগামী কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও। যেকোনো সময় সাঁকোটি ভেঙে গিয়ে বড় দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।
স্থানীয় সিরাজুল করিম বিপ্লব বলেন, পানি চলাচলে বাঁধাগ্রস্তের কারণে মূল রাস্তা ভেঙে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। মূলত ব্রিজ নির্মাণে কন্টাক্ট্ররের ভুলের কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি পাকা করার দাবী দীর্ঘদিনের। কিন্তু এতো বছরেও তা আলোর মুখ দেখেনি। দ্রুত সড়কটি সংস্কারে মাননীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মো. দিদারুল আলম বলেন, আকবর সিকদার পাড়া থেকে পিচঢালা অংশটুকু সংস্কারের জন্য টেন্ডার করা হয়েছে। সড়কের বাকী কাঁচা অংশটুকুর উন্নয়নে প্রকল্প নিয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। সড়ক ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকারাবাসের বদলে এক বছর পড়তে হবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ
পরবর্তী নিবন্ধইমিগ্রেশন কার্যক্রম উদ্বোধন সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে