৮ বছর পর বোয়ালখালী উপজেলা, পৌরসভা ও তিন কলেজ ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সম্মেলন ছাড়া কমিটি হওয়ায় তা প্রত্যাখ্যান করে সড়ক অবরোধ ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত একটি অংশ। গত সোমবার রাতে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। ‘অর্থের বিনিময়ে কমিটির শীর্ষ পদ বিক্রির’ অভিযোগ এনেছেন তারা। এভাবে কমিটি ঘোষণা করাকে গঠনতন্ত্র বিরোধী আখ্যা দিয়েছেন। ঘোষিত কমিটি নিয়ে উপজেলা কমিটির সভাপতি পদ প্রত্যাশী খালেদ মাসুদ বলেন, যারা দলের জন্য, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ঘাম ঝরিয়েছেন, তাদের এই কমিটিতে অবজ্ঞা করা হয়েছে। বিতর্কিত কমিটি বাদ দিয়ে নতুন কমিটি পুনর্গঠন না করা পর্যন্ত তাদের বিভিন্ন কর্মসূচি চলবে।
তিনি বলেন, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। দক্ষিণের বিভিন্ন ইউনিট কমিটি করার সময় আর্থিক লেনদেন করে গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়ে থাকেন। পটিয়া, সাতকানিয়া ও চন্দনাইশে উপজেলার গত কমিটি করার সময় আর্থিক লেনদেনের অনেক অভিযোগ এসেছে। সেটার প্রমাণও হয়েছিল তার বিরুদ্ধে।
উপজেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আকতার হোসেন বলেন, দীর্ঘ দিন পর উপজেলা কমিটি। অথচ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ছাড়া কেউ জানে না। আমি মনে করি তাদের পকেট ভারী করার জন্য গোপনে রাতের আঁধারে এই কমিটি করা হয়েছে।
দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও উপজেলা ছাত্রলীগের এক অংশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোরশেদ আলম বলেন, আমরা বোয়ালখালী উপজেলা ছাত্রলীগে দীর্ঘ ৮/১০ বছর নেতৃত্ব দিয়ে আসছি। অথচ কমিটির বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। আমরা তো দূরের কথা, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাও হয়ত কমিটির বিষয়ে জানেন না। কেননা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী সম্মেলন ছাড়া কোনো ইউনিটের কমিটি গ্রহণযোগ্য নয়।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন বলেন, কোনো সম্মেলন ও কাউন্সিল ছাড়া একের পর এক পকেট কমিটির অপরাজনীতি আর কতদিন চলবে?
প্রসঙ্গত, ৩ এপ্রিল ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের স্বাক্ষর করা একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপজেলাসহ এসব ইউনিট কমিটি ঘোষণা করা হয়।