সড়কেই মারা গেল পিতা-পুত্র

বাস চাপায় মৃত্যুর মুখে স্ত্রী

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | সোমবার , ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ

নিজের মোটরসাইকেলযোগে স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে নিয়ে ভাইয়ের শাশুড়ির জেয়াফত অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন সাইফুল ইসলাম (৪০)। কিন্তু পথেই বাসচাপায় শিশুপুত্র মোহাম্মদ জাবেদুল ইসলামসহ (১০) প্রাণ হারালেন। গুরুতর আহত হয়ে তার স্ত্রী চমেক হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন।
গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পাঠানীপুল এলাকায় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সাইফুল ইসলাম হাজীরপাড়া এলাকার মৃত আবদুল বারেকের পুত্র।
নিহতের পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাকরি সূত্রে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ পূর্ব শহীদ নগর এলাকায় পরিবারসহ বসবাস করতেন সাইফুল। গতকাল সকালে নগরীর বাসা থেকে স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে মোটর সাইকেলযোগে (চট্টমেট্রো-হ-১৭-২১১১) লোহাগাড়া উপজেলার নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। সেখান থেকে দুপুরে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তার ভাই প্রবাসী জসিম উদ্দীনের শ্বাশুড়ির জেয়াফত অনুষ্ঠানে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা চট্টগ্রাম-কঙবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পাঠানীপুল এলাকায় পৌঁছলে একটি পিকআপকে ওভারটেক করার সময় চট্টগ্রামমুখী হানিফ পরিবহনের দ্রুতগতির একটি বাসের (ঢাকামেট্রো-ব-১৪-৩৫৬৯) নিচে চাপা পড়েন। এ সময় মোটরসাইকেলটি আরোহীসহ বাসের চাকার সাথে লেগে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড়শ মিটার দূরে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সাইফুল ইসলাম ও তার শিশুপুত্র জাবেদ নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তার স্ত্রী ডলি আকতারকে (৩০) স্থানীয়রা উদ্ধার করে বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তিনি চমেক হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন বলে জানান নিহত সাইফুলের ভাই আবদুল ওয়াহেদ।
এদিকে দুর্ঘটনার পরপর চট্টগ্রাম-কঙবাজার মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে দোহাজারী হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার, দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে গতকাল বিকেলে নিহত পিতা-পুত্রের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইয়াছির আরাফাত।
সাইফুল ইসলামের ভাই আবদুল ওয়াহেদ আজাদীকে জানান, তার ভাইয়ের আরেক সন্তান জাহেদুল ইসলাম (১৫) শহরের বাসায় ছিল। সাইফুল বায়েজিদ এলাকার একটি খামারে চাকরি করতেন। নিহত জাবেদ অঙিজেন এলাকার ক্রিয়েটিভ স্কুলের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধঅক্সিজেন ও দশটি জরুরি পরীক্ষার খরচ নির্ধারণ