স্যামুয়েল বার্কলি বেকিট : সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী

| বুধবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:২১ পূর্বাহ্ণ

স্যামুয়েল বার্কলি বেকিট। একজন আইরিশ ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, ছোটগল্পকার, মঞ্চ পরিচালক, কবি ও অনুবাদক ছিলেন। তার পূর্ণবয়স্ক জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি প্যারিসে কাটিয়েছেন, ফলে তিনি ফরাসি ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই তার সাহিত্যকর্ম রচনা করেছেন।
স্যামুয়েল বেকিট ১৯০৬ সালের ১৩ এপ্রিল ডাবলিন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা উইলিয়াম ফ্রাঙ্ক বেকিট (১৮৭১-১৯৩৩) সার্ভেয়র এবং মাতা মারিয়া জোন্স রো সেবিকা ছিলেন। তার জন্মের সময় তার পিতামাতা দুজনের বয়স ছিল ৩৫। তারা ১৯০১ সালে বিয়ে করেন। বেকিটের ফ্রাঙ্ক এডওয়ার্ড বেকিট (১৯০২-১৯৫৪) নামে এক বড় ভাই ছিল। পাঁচ বছর বয়সে বেকিট ডাবলিনের স্থানীয় প্লেস্কুলে ভর্তি হন। সেখানে তিনি গানের তালিম নেওয়া শুরু করেন। এরপর তিনি ডাবলিন সিটি সেন্টারের নিকটবর্তী হারকোর্ট স্ট্রিটে আর্লসফোর্ট হাউজ স্কুলে চলে যান। বেকিট পরিবার আয়ারল্যান্ডের অ্যাংলিক্যান গির্জার সদস্য ছিলেন। তাদের পারিবারিক বাড়ি ডাবলিনের উপশহর ফঙরকে। তার পিতা উইলিয়াম বেকিটের সহজাত সৃষ্টিকর্মসমূহ অস্তিত্ববাদ ও অভিজ্ঞতার আলোকে প্রায়ই ব্ল্যাক কমেডি, ননসেন্স ও গ্যালো রম্যরস সহযোগে বিয়োগান্ত-হাস্যরসাত্মক ভাবের প্রকাশ করে। তার পরবর্তী কর্মজীবনে আরও নান্দনিকতা ও ভাষাগত নিরীক্ষার ফলে এটি আরও যৎসামান্য হয়ে ওঠে। তাকে সর্বশেষ আধুনিকতাবাদী লেখকদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয় এবং মার্টিন এসলিন তাকে ‘উদ্ভটদের মঞ্চ’ এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব বলে আখ্যায়িত করেন। তার সবচেয়ে প্রসিদ্ধ সৃষ্টিকর্ম হল ১৯৫৩ সালে লেখা নাটক ওয়েটিং ফর গোডো। বেকিট ১৯৬৯ সালে ‘তার লেখনী, যা-উপন্যাস ও নাটকের নতুন ধরনের জন্য’ সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৪ সালে সাওই অব আওসডানা নির্বাচিত হন।
১৯১৯/১৯২০ সালে বেকিট ফের্নানাফ কাউন্টির এনিস্কিলেনের পোর্টোরা রয়্যাল স্কুলে ভর্তি হন। তিন বছর পর ১৯২৩ সালে তিনি এই প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করেন। সহজাত ক্রীড়াবিদ বেকিট বাহাতি ব্যাটসম্যান ও বাহাতি মিডিয়াম পেস বোলার হিসেবে ক্রিকেট খেলায় দক্ষতা অর্জন করেন। পরবর্তীকালে তিনি ডাবলিন বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে খেলেছেন এবং নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে দুটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেন। ফলে তিনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা একমাত্র নোবেল সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএই দিনে
পরবর্তী নিবন্ধনতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণ দ্রুত বাস্তবায়ন হোক