স্মার্টফোন নয় বই হয়ে ওঠুক নিত্যসঙ্গী

সুব্রত কুমার নাথ | রবিবার , ৯ জানুয়ারি, ২০২২ at ৭:৫৭ পূর্বাহ্ণ

বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন আমাদের জীবনের একটি অপরিহার্য অনুষঙ্গ। স্মার্টফোন ছাড়া আমাদের প্রাত্যহিক কাজকর্ম প্রায় অচল। হাতে একটি স্মার্টফোন থাকলে তাৎক্ষণিক দেশ বিদেশের খবর ও ফলাফল জানা সহ ইমেইল এর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। মুহূর্তেই প্রিয়জনের খবরাখবর নেওয়া যায়। শেয়ার বাজার, বিদ্যুৎ বিল সহ যাবতীয় লেনদেন সম্পাদন করা যায়। এসব প্রয়োজনীয় কাজ মিটাতে বড়রা স্মার্টফোন ব্যবহার করলেও বর্তমানে এটি বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে ছোটদের ক্ষেত্রে। বিশেষ করে, মহামারী করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধথাকাকালীন অনলাইন ক্লাস চালু রাখার সুবাদে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্মার্টফোন হাতে ওঠে। পরবর্তীতে স্কুল কলেজ খুললেও তাদের থেকে স্মার্টফোন হাতছাড়া হয়নি। তখনই বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বইকে দূরে রেখে স্মার্টফোনকে আপন করে নেয়। আর এ স্মার্টফোন দিয়ে তারা বিভিন্ন প্রকার গেইম, টিকটক, নাচ ও ভিডিও দেখতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। ফলে স্মার্টফোনের প্রতি তাদের আসক্তি ক্রমশ বাড়তে থাকে। যার ফলে তাদের থেকে সৃজনশীলতা, মানবিকতা ও নৈতিকতাবোধ দিনদিন লোপ পাচ্ছে। সচেতন অভিভাবক হিসেবে প্রত্যেকের উচিত সন্তানদের প্রতি যত্নশীল হওয়া। তাদেরকে বই পড়ার প্রতি মনোযোগী করা। বই পড়ার মধ্য দিয়ে সন্তানদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, ধর্ম, ভূগোল, বিজ্ঞান, সাহিত্য সহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে সমৃদ্ধ করার প্রয়াস চালাতে হবে। কেবল বই-ই পারে প্রজন্মকে সৃজনশীল ও বিকশিত করে তুলতে। এছাড়াও অবসরে পরিবারের বড়রা ছোটদেরকে বাইরে কোথাও বেড়াতে নিয়ে যেতে পারে বা তাদেরকে বিনোদনধর্মী কাজে ব্যস্ত রাখতে পারে। তবে তাদের থেকে মোবাইল আসক্তি ধীরে ধীরে চলে যাবে। এক কথায়, ছোটদেরকে জ্ঞানের বাতাবরণে বিকশিত করতে এবং জীবনকে আনন্দময় করে তুলতে স্মার্টফোন নয় বরং খেলাধুলা, সংস্কৃতিচর্চা সহ বই হয়ে ওঠুক তাদের জীবনের নিত্যসঙ্গী। লেখক: অধ্যাপক

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, নেই পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধি
পরবর্তী নিবন্ধডায়াবেটিস সম্পর্কে প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণাসমূহ