স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র চালুতে বেতার কর্মীদের ভূমিকা

মুহাম্মদ শামসুল হক | বুধবার , ১৬ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৮:৫৫ পূর্বাহ্ণ

১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাংলার মুক্তিসনদ ঐতিহাসিক ছয় দফার ভিত্তিতে। নির্বাচনে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে পাকিস্তানিদের তালবাহানা দেখে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও নানাভাবে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ ঘটতে থাকে। এরইমধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে আহ্বান জানান, স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামের জন্য যার যা আছে তাই নিয়ে প্রস’ত থাকার। তাঁর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হলে নিজ নিজ করণীয় সম্পর্কেও আলাপ-আলোচনা করতে থাকেন স্ব স্ব অবস’ান খেকে। ২৫ মার্চ স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে থেকে বেতার কর্মীদের অনেকেও, যুদ্ধ শুরু হলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে করার কাজ করার ব্যাপারে মানসিকভাবে প্রস’ত ছিলেন। তাঁদের কেউ কেউ পরস্পর এমনও আলোচনা করেন যে, যদি অবস’ার কারণে প্রয়োজন হয় তা হলে একটা গোপন বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কাজ করা গেলে তা আন্দোলনকে গতিশীল করতে সহায়ক হতো। জানা যায়, এ ধরনের আলোচনায় বেলাল মোহাম্মদ (চট্টগ্রাম বেতারের তৎকালীন পান্ডুলিপিকার), আবুল কাসেম সন্দ্বীপ (ফটিকছড়ি কলেজের উপাধ্যক্ষ), আগ্রাবাদ হোটেলের ফারুক চৌধুরী, চট্টগ্রাম বেতারের অনুষ্ঠান প্রযোজক আবদুল্লাহ ফারুক, চট্টগ্রামে একটি অনুষ্ঠান (লোক গীতির লং প্লে ও চল”িচত্র নির্মাণ) তৈরি করতে আসা মাহমুদ হোসেন প্রমুখ সংশ্লিষ্ট ছিলেন।
এর আগে অসহযোগ আন্দোলনের সময় চট্টগ্রাম বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় সবরকম প্রচেষ্টা চালানোর অঙ্গীকার করেন। ৯ মার্চ বেতারের প্রোগ্রাম, নিউজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কর্মী-প্রতিনিধিদের এক সভায় এই অঙ্গীকার করা হয় এবং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চট্টগ্রাম বেতার কর্মচারী পরিষদ নামে একটি সংগঠন করা হয়। ১১ মার্চ এক সভায় খন্দকার নজমুল আলমকে সভাপতি ও সৈয়দ আশরাফ আলীকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠন করা হয় এ সংস’ার কার্যকরী পরিষদ। সভায় কেবল কিউশিট ছাড়া বেতারের সর্বস্তরে (দেশের ভেতর) বাংলা ভাষা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২৫ মার্চ রাতে হানাদার বাহিনীর আক্রমণ এবং ২৬ মার্চ ভোর থেকে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রেক্ষাপটে বেলাল মোহাম্মদ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ সাপেক্ষ সমমনা লোকদের নিয়ে বেতারকেন্দ্র চালুর উদ্যোগ নেন এবং বিভিন্ন জনের সঙ্গে দুপুর থেকে যোগাযোগ শুরু করেন। এ নিয়ে তিনি সমমনা কয়েকজনকে নিয়ে এনায়েতবাজারস’ ডা. মো. সফির (মুক্তিযুদ্ধে শহীদ) বাসভবনেও বৈঠক করেন। বিকেলের দিকে তাঁরা আগ্রাবাদ বেতার ভবনে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে কালুরঘাট সমপ্রচারকেন্দ্রে গিয়ে অনুষ্ঠান সংগঠনে ভূমিকা রাখেন। ২৬-২৯ মার্চের মধ্যে বিভিন্ন সময় আরও যুক্ত হন বেতার ও সংস্কৃতি সংগঠক মাহবুব হাসান, অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ (ইনি বেতারকর্মী ছিলেন না), বেতার প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন, আবুল কাসেম সন্দ্বীপ, আবদুল্ল্লাহ আল ফারুক, ডা. আনোয়ার আলী, ডা. সুলতান-উল-আলম, আবদুস সোবহান, কবি আবদুস সালাম, কাজী হোসেন আরা, ফজলে হোসেন প্রমুখ। পরে আরও যুক্ত হন ওয়াপদার ইঞ্জিনিয়ার আশিকুল ইসলাম, বেতার প্রকৌশলী আমিনুর রহমান, অনুষ্ঠান প্রযোজক মোস্তফা আনোয়ার, বেতার প্রকৌশলী এ এইচ এম শরফুজ্জামান, রেজাউল করিম চৌধুরী, রাশেদুল হোসেন (কারিগরী সহকারী), দিলীপ চন্দ্র দাশ, মেকানিক আবদুস শাকুর প্রমুখ। ডা. সুলতান-উল-আলম ছিলেন চট্টগ্রাম বেতারের সংবাদ পাঠক (অস’ায়ী) এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র।
বেলাল মোহাম্মদ ও তাঁর সঙ্গীরা প্রথমে চেয়েছিলেন আগ্রাবাদ বেতারকেন্দ্র থেকে অনুষ্ঠান ঘোষণা করে কালুরঘাট ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে তা প্রচার করতে। নিরাপত্তার অভাববোধ হওয়ায় তা আর হয়নি। এ অবস’ায় বেলাল মোহাম্মদ ফোনে যোগাযোগ করে বেতারের সহকারী আঞ্চলিক পরিচালক আবদুল কাহ্‌হারের পরামর্শ অনুযায়ী সহযোগিদের নিয়ে কালুরঘাট ট্রান্সমিটারকেন্দ্র থেকে অনুষ্ঠান প্রচারের ব্যবস’া করেন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে।
সন্ধ্যাকালীন এই অনুষ্ঠানটিকে বেলাল মোহাম্মদ অভিহিত করেন ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের’ প্রথম অধিবেশন। তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, বেতার কেন্দ্রের নাম হবে ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র।’ ‘বিপ্ল্লবী’ শব্দটি যোগ করতে বলেছিলেন আবুল কাসেম সন্দ্বীপ। বেতারের নিজস্ব অনুষ্ঠান ঘোষক ফজল হোসেন ও কাজী হোসনে আরা বেতারকেন্দ্রে উপসি’ত থাকলেও পরিচিত কণ্ঠস্বর হওয়ায় পরে সমস্যা হতে পারে এমন আশঙ্কায় তাদের অনুষ্ঠান ঘোষণা থেকে বিরত রাখা হয়। বিষয়টি স্বীকার করেন ফজল হোসেন।
২৬ মার্চ সান্ধ্য অধিবেশনটি চলে প্রায় আধঘণ্টা ধরে। এ সময়ে এম এ হান্নান আবারো আসেন কালুরঘাট ট্রান্সমিটার কেন্দ্রে ডা. আবু জাফরকে সঙ্গে নিয়ে এবং স্বকণ্ঠে প্রচার করেন ঘোষণাটি। আবুল কাসেম সন্দ্বীপ এবং আশিফুকুল ইসলামও ঘোষণাটি পাঠ করেন। কোরান তেলাওয়াত করেন কবি-সাংবাদিক আবদুস সালাম। অনুষ্ঠান ঘোষণায় ছিলেন সুলতান-উল-আলম (পরবর্তী সময়ে বিশিষ্ট চিকিৎসক, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ)। এই অধিবেশন সম্পর্কে ’৯৭ সালের ডিসেম্বর থেকে একাধিকবার কথা হয় এ লেখকের। ডা. সুলতান-উল-আলম তাঁর এক স্মৃতিচারণমূলক লেখাও দেন এ লেখককে। তিনি বলেন, ‘২৬ মার্চ দুপুর বেলায় চট্টগ্রাম বেতার থেকে স্বাধীনতার পক্ষে প্রথম বাণী পাঠ করেন তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল হান্নান। মাত্র দুই মিনিটের এই ঘোষণা যাঁরা শুনেছেন তাঁরা অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে স্বাধিকার সংগ্রামে নতুন শপথ নিল। অন্যরা হতবুদ্ধি ও বিহ্বল হয়ে রেডিওর নব ঘোরাতে শুরু করলো আরও কিছু শোনার জন্য। একজন বেতার ঘোষক হিসেবে আমার মনে হলো, এখনি বেতার কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। অনেক কষ্টে আগ্রাবাদ বেতার ভবনে পৌঁছে দেখি বেতার সহকর্মীরা উত্তেজিত। এদের মধ্যে রয়েছেন বেলাল মোহাম্মদ, মাহবুব হাসান, ডা. আনোয়ার আলী এবং হোসনে আরা। নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনায় সি’র হলো এখান থেকেই বেতার প্রচার শুরু হবে। বেতার কর্মী মাহবুব হাসান টেলিফোনে যোগাযোগ করলেন বেতার প্রকৌশলী মির্জা নাসির উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি পরামর্শ দিলেন যেহেতু আগ্রাবাদ বেতার কেন্দ্রটি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আওতার মধ্যে এবং বেতার প্রচার শুরু হলে তাদের দ্বারা আক্রান্ত হবার আশঙ্কা রয়েছে। ঠিক হলো কালুরঘাট সম্প্রচার কেন্দ্রকে এ কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। সেখানে যাওয়ার জন্য একটি পিকআপ ভ্যানের ব্যবস’া করে সাহায্য করলেন ডা. সৈয়দ আনোয়ার আলী। বেতার কর্মী বেলাল মোহাম্মদ নিলেন অগ্রণী ভূমিকা। ডা. সৈয়দ আনোয়ার আলী নিজেই গাড়ির হুইল ধরলেন। যতদূর মনে পড়ে এই গাড়িতে ছিলেন বেলাল ভাই, অনুষ্ঠান ঘোষিকা হোসনে আরা, মরহুম কবি আবদুস সালাম, আবুল কাসেম সন্দ্বীপ এবং আমি। সন্ধ্যায় কালুরঘাট সম্প্রচারকেন্দ্রে গিয়ে একটি কক্ষে বসে কেন্দ্রের নাম ঠিক হলো “স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র”। বেতারকেন্দ্রের প্রথম অধিবেশনের রূপরেখা ঠিক করে প্রচারের একটু আগেই হঠাৎ করে হাজির হন আবদুল হান্নান। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি আবার পড়ে শোনান। বেলাল ভাইয়ের প্রস্তাবে আমি অধিবেশনের ঘোষণার জন্য মনোনীত হই। মনের মধ্যে প্রচণ্ড উত্তেজনা এবং আবেগ নিয়ে বুথে ঢুকে বেতার মাইক্রোফোনে উ”চারণ করলাম “স্বাধীন বাংলা বিপ্ল্লবী বেতার কেন্দ্র থেকে বলছি” এই নাম ঘোষণাটি উ”চকণ্ঠে আরও দুবার উ”চারণ করলাম। এভাবেই শুরু হলো স্বাধীন বাংলা বিপ্ল্লবী বেতারকেন্দ্রের ঐতিহাসিক ‘প্রথম’ অধিবেশন। যে অধিবেশন থেকে ছড়িয়ে পড়লো স্বাধীনতার অগ্নিস্ফুলিঙ্গ বাংলার গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। অধিবেশনে একটি সংবাদ বুলেটিন পাঠ করেন আবুল কাশেম সন্দ্বীপ। বহির্বিশ্বের সাহায্য কামনায় ইংরেজিতে নিউজ বুলেটিনে কণ্ঠ দেন তৎকালীন বেতার প্রযোজক আবদুল্ল্লাহ আল ফারুক। বাংলার আপামর জনসাধারণকে যার হাতে যাই আছে তা দিয়ে পাকিস্তানি শত্রুদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান চট্টগ্রামের মরমী কবি আবদুস সালাম। অনুষ্ঠানে কারিগরি সহায়তায় ছিলেন বেতার প্রকৌশলী মুসলিম খান, দেলোয়ার হোসেন ও মোহাম্মদ মুসা।
২৬ মার্চের সান্ধ্য অধিবেশন শেষে বেলাল মোহাম্মদ ও তাঁর সঙ্গীরা চলে আসার পর বেলাল মোহাম্মদেরই ঘনিষ্ঠজন মাহমুদ হোসেন আগ্রাবাদ থেকে বেতার প্রকৌশলী আবদুস সোবহানকে নিয়ে কালুরঘাট ট্রান্সমিটারে যান রাত প্রায় ১০টায়। সেখানে তখন উপসি’ত ছিলেন আবুল কাসেম সন্দ্বীপ, রঙ্গলাল দেব চৌধুরী, আগ্রাবাদ হোটেলের ফারুক চৌধুরী ও অনুষ্ঠান ঘোষক কবির প্রমুখ। এঁরা সবাই আগ্রাবাদ হোটেলে বসে বেলাল মোহাম্মদের সান্ধ্য অধিবেশন শুনেছিলেন। পরে আবেগের বশে ও দেশপ্রেমের চেতনায় স্বে”ছায় ছুটে গিয়েছিলেন কালুরঘাটে। অনানুষ্ঠানিকভাবে এটাকে ২৬ মার্চের তৃতীয় অধিবেশন ধরা যায়। প্রসঙ্গত বেতার কর্মীদের দ্বারা বেতারকেন্দ্র চালু ও স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচারের আগেই রাজনৈতিক নেতৃত্বের স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগ-আয়োজনে বেতার কর্মীদের সহযোগিতা নিয়ে ২৬ মার্চ দুপুর দেড়টা থেকে দুটোর মধ্যে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে চালু করে প্রথমবার স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান। এ সময় অনুষ্ঠান ঘোষণা করেন তৎকালীন ছাত্রনেতা রাখালচন্দ্র বণিক। অনানুষ্ঠানিক হলেও ধারাবাহিকতার দিক থেকে এটি ছিল প্রথম অধিবেশন।
২৬ মার্চের বেতার অধিবেশন ও স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচারের ফলে মানুষের মনে ধারণা জন্মে যে, জনগণের পক্ষে বাঙালি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের দখলে একটা বেতার কেন্দ্র রয়েছে এবং বঙ্গবন্ধু হয়তো আশপাশে আত্মগোপন অবস’ায় থেকে যুদ্ধের দিক নির্দেশনা দিয়ে চলেছেন। ২৬ মার্চ রাতে বিবিসির খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের কোনো এক জায়গা থেকে গোপন বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। সে সময় পাকিস্তান রেডিওর ওপর আস’া না থাকায় সর্বস্তরের মানুষ রেডিও সেটের কাছে জড়ো হয়ে মনোযোগ দিয়ে শুনতো বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকা ও আকাশবাণী কলকাতার খবর। এ তিনটি বেতার অনুষ্ঠানের সময় (সংবাদ ও পর্যালোচনা) ছাড়া বাকি সময়ে নব ঘোরাতো স্বাধীন বাংলা বেতারের অনুষ্ঠান শোনার জন্য।
২৬ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে যোগ দেওয়া বেতার কর্মী ও অন্যান্য উৎসাহী সহযোগীদের কেউ কেউ পরবর্তী সময়ে আর সম্পৃক্ত থাকেননি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সাথে। ৩০ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে হামলা চালালে এটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে নানা প্রক্রিয়ায় এটি ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে দেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার পর পর্যন্ত চট্টগ্রামে যুক্ত কর্মীদের মধ্যে শেষপর্যন্ত যাঁরা যুক্ত ছিলেন তাঁরা হলেন-বেলাল মোহাম্মদ (বেতারের তৎকালীন নিজস্ব শিল্পী এবং দল নেতা), আবুল কাশেম সন্দ্বীপ, সৈয়দ আবদুস শাকুর, আবদুল্ল্লাহ আল ফারুক (তৎকালীন অনুষ্ঠান প্রযোজক), রাশেদুল হোসেন (তৎকালীন টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট), মোস্তফা আনোয়ার (তৎকালীন অনুষ্ঠান প্রযোজক), আমিনুর রহমান (তৎকালীন টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট), শারফুজ্জামান (তৎকালীন টেকনিক্যাল অপারেটর), রেজাউল করিম চৌধুরী (তৎকালীন টেকনিক্যাল অপারেটর) এবং কাজী হাবিবুদ্দিন (ইনি বেতার কর্মী ছিলেন না)।
লেখক : সম্পাদক-ইতিহাসের খসড়া, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষণাকর্মী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধ৪৯তম বিজয় দিবসে প্রধানমন্ত্রীর তিনটি চ্যালেঞ্জ : আয়বৈষম্য হ্রাস, দুর্নীতি দমন এবং লাইনচ্যুত গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার