তাড়িয়ে সকল মেঘেদের ঘনঘটা
কালোরাত চিরে আসা আলোকের ছটা
দূরীভূত করে ক্রমে আঁধারের ঘোর
প্রাণখোলা এক হাসি দিয়ে আসে ভোর
এসময় কেউ পূবাকাশে টানে তুলি
আকাশের সাথে রঙ করে কোলাকুলি
লাল হয়ে আসে আকাশের পুরো মুখ
মনে আনে সুখ এই অনুভূতিটুক
লতা পাতা আর বৃক্ষের শাখে শাখে
মনে হয় যেনো লুকোচুরি খেলে ফাঁকে
খুনসুটি কাটে কী যে দুষ্টু সে হাওয়া
শন শন করে শুধু সেই গান গাওয়া
মনে হয় ঠিক আসে এক শুভক্ষণ
পাখিসঙ্গীতে মেতে ওঠে পুরো বন
প্রজাপতিগুলো বুটিদার জামা গায়
ওড়াওড়ি করে, কখন যে কোথা যায় !
তোমরা কি ভাবো জানি না তা আমি মোটে
চুমু দিয়ে আসে ওরা ফুলেদের ঠোঁটে
আরো কতোকিছু করে যায় ক্ষণে ক্ষণে
সতত ওদের রঙ লেগে থাকে মনে।
দুপুরের রোদ বাজায় সরোদ যেনো
কী করে বুঝাই এতো ভালো লাগে কেনো
রৌদ্রের রঙে ডানা রাঙিয়ে সে চিল
ক্যামেরার মতো ঘুরায় চোখের রীল
বিস্ময়ে দেখি আমি তার সেই হবি
আকাশে ওঠে সে তোলে জমিনের ছবি
নিকেলের রঙ বিকেল যখনি নামে
মিঠে রোদ খেলে ভাঙা বাড়িটার থামে
আমাকে তখন তুমি পাবে সেই মাঠে
ওখানে আমার পুরোটা বিকেল কাটে
এই মাঠ বাট, এই তল্লাট –এরাই আমাকে দে ঠাঁই
স্বাধীনতা মানে হেসে খেলে থাকা আরকিছু নয়, এটাই।