স্বর্ণশিল্পীদের জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা নেই

তপন কান্তি ধর | রবিবার , ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:৩৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী হাজারী লেইনে আড়তদার ও স্বর্ণশিল্পীদের মাধ্যমে বিভিন্ন ডিজাইনে যুগোপযোগী অলংকার তৈরির বিশ্বস্ত কারিগরী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ঠিক তেমনি কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি সহ মার্কেটভিত্তিক স্বর্ণশিল্পী সমিতির সংগঠন আছে। হাজারী মার্কেট স্বর্ণশিল্পী সমিতি, চট্টগ্রাম হাজারী লেইন স্বর্ণশিল্পীদের সহযোগিতায় সুন্দরভাবে চলছে সব কার্যক্রম। এখানে অলংকারগুলো তৈরি হয়ে বিভিন্ন উপজেলা, জেলা শহরের মার্কেটে যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বর্তমানে স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণে এবং কোভিড-১৯ পরবর্তীকালে কাজ-কর্ম একেবারেই কমে যাওয়ায় এই শিল্পের কারিগরদের কোন ধরনের সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা নেই এবং বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতিরও (বাজুস) উদ্যোগ নেই। অথচ অলংকার ক্রয়-বিক্রয়ে সরকার আয়কর পেয়ে থাকে। তাই সরকার তথা বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের কাছে এই শিল্পের কারিগরদের বাঁচিয়ে রাখতে জোর দাবি জানাচ্ছি। উল্লেখ্য, বিদেশ থেকে ব্যাগেজ রুলে অলংকার আসায় চরম ক্ষতির শিকার হচ্ছেন স্বর্ণশিল্পীরা। হাজারী লেইনে বর্তমানে স্বর্ণের মান যাচাইয়ের জন্য অনেকগুলো স্বর্ণ পরিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। চিটাগাং কাটিং সেন্টার এন্ড গোল্ড টেস্টিং হলমার্ক, রাজেশ্বরী গোল্ড টেস্টিং সেন্টার, দয়াময় গোল্ড সেটিং সেন্টার, যাদব গোল্ড টেস্টিং সেন্টার, ফিসার গোল্ড টেস্টিং সেন্টার এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো স্বয়ংক্রিয় মেশিনে হলমার্ক লোগোযুক্ত স্টাম্প করে থাকে।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন শপিংমল এবং হাজারী লেইনের বিভিন্ন বড় বড় মার্কেটসহ চট্টগ্রামের ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রচুর জুয়েলারি শো-রুম হয়েছে। ফলে গ্রাহকরা নিজেদের সুবিধাজনক স্থান থেকে রুচিশীল অলংকার কিনতে পারছেন। বর্তমানে স্বর্ণের শতভাগ মান ২১শ, ২২শ প্রচলিত যা শতভাগ সঠিক মানের। এতে ক্রেতারা ঠকবার কোনও অবকাশ নেই।
লেখক: প্রাবন্ধিক

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅলিতে-গলিতে স্ট্যান্টবাজি রুখবে কে?
পরবর্তী নিবন্ধফকির লালন শাহ ও একতারা ভাস্কর্য