স্বপ্নের সারথি বাংলাদেশের প্রতিবিম্ব

ওমর ফারুক চৌধুরী জীবন | বুধবার , ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৪:৫৩ পূর্বাহ্ণ

তিনি কেন অতুলনীয়, কেন তিনি অন্যান্যদের থেকে ব্যতিক্রমী, কেন তিনি সকলের চেয়ে সর্বোচ্চে অবস্থান করেন? এসকল প্রশ্নের উত্তরে কেবল একটা কথাই বলা যায় সেটা হল শেখ হাসিনা একজন ‘মা’। এই বাংলাদেশ ও দেশের মানুষকে তিনি আগলে রেখেছেন ঠিক মায়ের ভূমিকায়। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের খবর যেমন রাখেন, প্রান্তিক জনগণের দুঃখ-কষ্টও তেমন তাকে দারুণভাবে স্পর্শ করে। দুর্নীতি যাকে স্পর্শ পর্যন্ত করতে পারেনি। উল্লেখ করার মতো যার কোনো সম্পদ নেই। এমনকি পরিবারের সদস্যদেরও গোপন কোন সম্পদ নেই। খোদ বিরোধী শিবিরেও তাঁর সততার ব্যাপারে কোন প্রশ্ন ওঠেনি। ব্যক্তিগত লোভ লালসার ঊর্ধ্বে উঠে রাষ্ট্র পরিচালনা ও পরিবারকেও সে পথে পরিচালনা করার বিরল নজির কেবল একমাত্র শেখ হাসিনা। অনেকেই তাকে তুলনা করেন, ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে প্রাধান্য দিয়ে ব্রিটেনের হারানো গৌরব ফিরিয়ে দেয়া ‘লৌহ মানবী’ নামে খ্যাত মার্গারেট থ্যাচার এর সঙ্গে। কিন্তু সততা, বিচক্ষণতা, দৃঢ় ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক দর্শন, শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতি ও অভ্যন্তরীণ নীতিতে মার্গারেট থ্যাচার এর চাইতেও বহুগুণে এগিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তাঁর তুলনা কেবল তিনি নিজেই। দলীয় প্রধান ও সরকার প্রধান হিসেবে সর্বত্রই মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের উন্নয়নের রাজনীতিতে অপরিহার্য হয়ে প্রজ্ঞা, দক্ষতা আর দূরদর্শিতায় পূর্ব ও পশ্চিম উভয়বিশ্বে নিজের অবস্থানকে সুদৃঢ় করে নিয়েছেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা।
পঁচাত্তরের পনের আগস্টের নৃশংসতা ও স্বজন হারানোর শোক কাটিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে, তৎকালীন স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ও জান্তা সরকারের সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। বিদেশের মাটিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন, দেশে এসে দলকে সুসংগঠিত করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড, জাতীয় চারনেতা হত্যাকাণ্ড ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের লক্ষে দুর্বার সংগ্রাম শুরু করেন তিনি। শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রম এবং দূরদর্শী নেতৃত্বে সকল ষড়যন্ত্র এবং কূটকৌশল ভেদ করে ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ক্ষমতার এই পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করে একটি আত্মনির্ভরশীল জাতিতে পরিণত হয়। কিন্তু ২০০১ সালের পর আবারো গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় দেশ।
দেশের রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার সুযোগে ২০০৬ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে এবং নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হয়। মিথ্যা ও রাজনৈতিক মামলায় গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার অপচেষ্টা চালায় জান্তা সরকার। অতঃপর মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ার ও ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের ফলে একবছর পর ২০০৮ সালের ১১ই জুন শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় তারা। নবম সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক জনসমর্থন ও ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে দ্বিতীয়বারের মতন সরকার গঠন করে। সরকার প্রধান হয়েই বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক মুক্তি স্বপ্নপূরণ, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠনে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে উপহার দিলেন ‘রূপকল্প-২০২১’। দেশের সাধারণ মানুষ বিশেষ করে তরুণ সমাজ এই ‘রূপকল্প-২০২১’-এ তাঁদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেখতে পায়। পাঁচ বছর মেয়াদ শেষে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট আবারো নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে তৃতীয়বারের মত সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এই দশ বছরে- কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো উন্নয়নসহ আর্থ-সামাজিক সকল খাতে বিস্ময়কর অগ্রগতি সাধিত হয় বাংলাদেশের। বিশ্বে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে বাংলাদেশ। বিতর্কিত ওয়ান ইলেভেনের সময় জেলে বন্দী অবস্থায় ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতেন বাংলাদেশের উন্নয়নের কাণ্ডারী শেখ হাসিনা। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, “কারাগারে থেকেও আমি সময় নষ্ট করিনি। বাংলাদেশকে নিয়ে ভেবেছি। প্রতিদিন লেখালেখি করতাম। সঙ্গে করে একটি খাতা নিয়ে গিয়েছিলাম। কয়েকদিনের মধ্যে তা লেখায় পরিপুর্ন হয়ে যায়। এরপর আরো একটি খাতা আনিয়ে নিয়েছিলাম। আমার লেখার বিষয়বস্তু ছিলো ভবিষ্যত বাংলাদেশকে নিয়ে। ২০২১ সালে বাংলাদেশের শিক্ষার হার কত হবে? খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্নতা অর্জনে আমাদের কি করণীয়? মৌলিক চাহিদা পূরণে আমাদের সরকার কি করতে পারে? ইত্যাদি।” (১৩ জুলাই ২০১৫, দৈনিক ইত্তেফাক।)
২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার অনন্য এক যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুকন্যার দূরদর্শী নেতৃত্বে সাহসী এবং অগ্রগতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত রূপান্তর ও উল্ল্লেখযোগ্য সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে দ্রুত উন্নয়নের পথে নিয়ে এসেছে। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে অর্থনীতি ও অবকাঠামোগত ব্যাপক পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধিত হয় এবং এশীয় প্যাসিফিক অঞ্চলে ক্রমান্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে বাংলাদেশ।
দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা এমডিজি অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়নসহ জিডিপি, মাথাপিছু আয়, প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবেলায় সক্ষমতা অর্জন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, নারী ও শিশু উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন, কৃষি বিপ্লব এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, প্রবাসী শ্রমিকদের উন্নয়ন, শিল্প-কারখানার প্রসার, জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ, শতভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্প ও বাণিজ্য খাতে অর্জন, দারিদ্র্যসীমা হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, রপ্তানীমূখী শিল্পায়ন, ১০০ টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, পোশাক শিল্প, ওষুধ শিল্প, রপ্তানী আয় বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা, ভূমি ব্যবস্থাপনা, এমনকি বিশ্বমন্দার প্রকোপ মোকাবেলায় বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত ছিটমহল সমস্যার সমাধান, সমুদ্রসীমা জয় ও সম্ভাবনাময় ব্লু-ইকোনমি, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দ্রুত এগিয়ে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের সাফল্য অর্জন করেছে। পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঢাকা মেট্রোরেলসহ দেশের মেগা প্রকল্পসমূহের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। বিশ্বব্যাংক এবং এশিয়ান ডেভেলাপমেন্ট ব্যাংকের অসত্য অভিযোগকে বৃদ্ধাঙ্‌গুলি দেখিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ শুরু করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পদ্মাসেতুর কাজ দ্রুত এগিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন- “যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম। স্থানীয় সময় রাত ৩টায় মেসেজ এলো। জানলাম স্প্যান বসানো হয়েছে। জেগেই রয়েছি; বললাম ছবি পাঠাও। ওবায়দুল কাদের ছবি ও ভিডিও দুটাও পাঠালেন। সেগুলো দেখে দুই বোন (শেখ রেহানা) সেখানে কেঁদেছি। অনেক অপমানের জবাব আমরা দিতে পারলাম, এটাই সব থেকে বড় অর্জন।”
মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলাতে শেখ হাসিনা সবসময়ই আপোষহীন। মাঝেমধ্যে দেশী-বিদেশী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা চালালে শক্ত হাতে মোকাবেলা করেন শেখ হাসিনা। মানবিক দৃষ্টিকোনে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা উদ্ভাস্তুকে বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদানে বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূষিত হয়েছেন ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ উপাধিতে। করোনা মোকাবেলায় সাফল্যের অনন্য উচ্চতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কমনওয়েলভুক্ত ৫৪ দেশের সরকার প্রধানদের মধ্যে শীর্ষ তিন নেতৃত্বের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অন্যতম। করোনার এই মহাসংকটকালে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ও আন্তরিকতায় বাংলাদেশের মানুষ এখন বিনামূল্যে করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণ করছে।
বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারের আরেকটি বড় সাফল্য হচ্ছে বিচারহীনতা সংস্কৃতির অবসান। অপরাধী যতবড়ই ক্ষমতাধর হোক না কেন, শেখ হাসিনার চেয়ে বড় ক্ষমতাধর বাংলাদেশে কেউ নন। তারপরেও সমালোচনা কিংবা বিরোধিতা থাকবে। সফলতা দিয়েই সব সমালোচনার উপযুক্ত জবাব প্রদান করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। কতবার কতভাবে যে তার জীবননাশের চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র হয়েছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। বার বার বুলেট ও গ্রেনেডের মুখ থেকে বেঁচে ফেরা বহ্নিশিখা শেখ হাসিনা। বাংলার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্যেই হয়ত সৃষ্টিকর্তা তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।
দেশটাকে দুর্নীতিমুক্ত করার প্রাণপণ প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে তাঁর। যে লড়াই শুরু করেছিলেন পিতা, কন্যা শেখ হাসিনার জন্য সে লড়াই ততোটা সহজ নয়। কেবলমাত্র নৈতিকভাবে যিনি সৎ, সততা যার বর্ম, তিনিই কেবল এমন লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে পারেন। বিশ্বের সবচেয়ে সৎ পাঁচজন রাষ্ট্রপ্রধানের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং এর পরেই শেখ হাসিনার অবস্থান। বাংলাদেশের মানুষের জন্যে এটা অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। মহান সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির একজন সাংসদ এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে, তিনি বলেন, “এটুকু বলতে পারি মাথায় (সরকার প্রধান) পচন নেই, যদি শরীরে (সরকারের মন্ত্রী) কোথাও একটু ঘা-টা হয় তা আমরা সারিয়ে ফেলতে পারব।” এই বাংলার মানুষের বিশ্বাসপূর্ণ ভালবাসা তাঁর মূলশক্তি। এই শক্তি তাঁর কাজে স্পৃহা যোগায়। এই স্পৃহাকে কাজে লাগিয়ে একটা দক্ষ, সেবামুখী, জবাবদিহিতামূলক প্রশাসন ও অবক্ষয়মুক্ত সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলে, দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার মত কঠিন পথ পাড়ি দিতে পারলেই ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। এবং সেই কঠিন পথের অনেকদূর পর্যন্ত এগিয়ে গেছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা। জয়তু স্বপ্নের সারথি, আপনার হাত ধরে এগিয়ে যাক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ।
লেখক : প্রাবন্ধিক, সাবেক ছাত্রনেতা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসবুজের বিদায় ঘন্টা!
পরবর্তী নিবন্ধদূরের টানে বাহির পানে