স্বপ্নগুলো পুড়ে যায় যখন বাস্তবতার কাছে হেরে যায়

সাহাদাত হোসাইন সাহেদ | সোমবার , ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ

নারী সাফ গেমসের অর্জন একটি ইতিহাস। শুভ সূচনার মাইলফলক। নারীকে বিদ্রুপ করা, নারীর টিপ ও শর্ট কাপড় নিয়ে টিপ্পনী কাটা ঐ দুষ্টু কীটের জন্য তীব্র চপটঘাত। অল্পতে তুষ্ট (সামান্য বেতনে) এই নারী বিজয়ীরা অর্জন ছিনিয়ে এনে বিশ্বকে বার্তা দিলো স্বদেশ মাতৃকার আমাদের পরম প্রিয় চিত্ত। নারী বিস্ময় বাঙালির অহংকার। বেঁচে মরে যদি যায় ভেসে, আশ্বাসের বাণী হয়ত হবে মিছে।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন মেয়েদের বিবাহ কর্মে পুরস্কার প্রদানের ব্যবস্থা করবেন, ঘোষিত কথাটি কি শুভঙ্করের ফাঁক? বাফুফে এমন জয়ে কি মোটেও খুশী না? কেন বাফুফের এমন মার্জিত শঙ্কা? তাঁরা কি সোনার টুকরো মেয়েদের সম্মান প্রদানে কুন্ঠিত? কোচ, ম্যানেজার, চিকিৎসক সহ পুরো টিম ও খেলোয়াড়দের বসার স্থান করতে কেন এত কার্পণ্য?
প্রধানমন্ত্রী দেশে না থাকায় কি হেলাফেলা করার নমুনা? বাফুফের কর্মকর্তাদের কি মালা পরার খুবই প্রয়োজন ছিল? কেন বিমানের লাগেজে মালামার চুরি হয়ে যায়? সতর্কদৃষ্টি না দিয়ে বাফুফে কি হীন মনের পরিচয় দিলেন? সম্মান অর্জনের পুরো টিমকে রাষ্ট্রীয় সম্মান ও পুরস্কার ঘোষণা দেওয়া হোক। বাঙালি ললনারা ঘোষিত এক একজন বিজয়ী বীর। সত্বর ঘোষণা আসুক, প্রাপ্তি হোক যথার্থ। অবশ্য একথা বলা যায়–স্বপ্নগুলো পুড়ে যায়। যখন বাস্তবতার কাছে হেরে যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চাই কার্যকর পদক্ষেপ
পরবর্তী নিবন্ধশরৎ রূপ